সংসদে পেগাসাস নিয়ে আলোচনাই করতে দিচ্ছে না বিজেপি। এবার তাই সংসদের বাইরেই এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে সরব হল বিরোধীরা। গণতন্ত্রের কণ্ঠোরোধ করা হচ্ছে, এই মর্মেই বিরোধিতার অস্ত্রে শান দিল কংগ্রেস-সহ সব বিরোধী দলের নেতারাই। একই সময়ে দলীয় বৈঠক থাকায় সাংবাদিক বৈঠকে থাকতে পারেনি তৃণমূল সাংসদরা। বিরোধীরা চাইছেন জাতীয় সুরক্ষা ও পেগাসাস নিয়ে যতক্ষণ সংসদে কথা বলতে দেওয়া হবে না, ততক্ষণ সংসদ অচল করেই রাখবেন তাঁরা। এদিন রাহুল গান্ধি বলেন, “আমাদের স্বরকে দমন করা হচ্ছে সংসদে। আমাদের সাফ প্রশ্ন, ভারত সরকার কি পেগাসাস কিনেছে না কেনেনি? ভারত সরকার কি দেশের জনগণের ওপর নজরদারির জন্য হাতিয়ার ব্যবহার করেছে?” রাহুল আরও বলছেন, “আমাদের সরকার বলেছে পেগাসাস নিয়ে সংসদের ভেতরে কোনও কথা হবে না। আমি ভারতের যুবকদের জিজ্ঞেস করছি, আপনাদের ফোনের ভিতরে যদি নরেন্দ্র মোদী আড়িপাতার কৌশল করেন, আপনারা কী ব্যবস্থা চাইবেন!” রাহুলের কথায়, “এই হাতিয়ার আমার বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছে। তাহলে এই নিয়ে কেন সংসদে কথাবার্তা হবে না? আমাদের বিষয় বলা হয় আমরা সংসদের স্পিরিট নষ্ট করছি। আমরা সংসদকে নষ্ট করতে চাই না। বরং আমরা দ্বায়িত্ব পালন করতে চাই । ভারতের বিরুদ্ধে পেগাসাস কে ব্যবহার করা হচ্ছে।”