কলকাতা

আক্রান্তের থেকে রাজ্যে সুস্থতার হার বেশি: মুখ্যমন্ত্রী

আজ নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ১০৪টি সেফ হোম সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। তিনি এও বলেন, ৯ হাজার নার্স কাজ করছেন। হাউজ স্টাফদের সংখ্যা বাড়ানো হবে। রোগীকে কোনওভাবেই ফেরানো যাবে না। কাজে লাগানো হবে সিনিয়র রেসিডেন্টদের। তিনি জানান, উম-পুনের ত্রাণের টাকা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ নিয়ে অভিযোগ থাকলে থানায় জানান। করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবচেয়ে বেশি সমীক্ষা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে । যা দেশে সর্বোচ্চ। আজ নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে এমন দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, “কোনও রাজ্য বলছে ১.৫ কোটি । কেউ বলছে ৩ কোটি । কিন্তু আপনারা কি জানেন বাংলায় ১৬ কোটি সার্ভে হয়েছে । রাজ্যে ২.৫কোটি পরিবার রয়েছে । এক একটি বাড়িতে কতবার গেলে ১৬ কোটি হয় ভাবুন । আমাদের আশাকর্মীরা এই কাজ করেছেন । আমি মনে করি ভারতে এটি সর্বোচ্চ । বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পর দেখা গেছে, ১.৯২ লক্ষ ILI কেস রয়েছে বাংলায় । আর SARI কেস রয়েছে, ৪৩৩৭ জন ।” সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “কোরোনা পরিস্থিতিতে প্রথমের দিকে পরীক্ষার সংখ্যা কম ছিল। অন্য রাজ্যগুলিতে ল্যাবরেটরির সুবিধা, পরীক্ষার পরিকাঠামো ভালো ছিল । ধীরে ধীরে রাজ্যেও পরীক্ষার ক্ষেত্রে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয় । ল্যাবগুলির সংখ্যা বাড়তে থাকে । সেই অনুযায়ী এপ্রিলের শেষে দুটি ল্যাব নিয়ে পরীক্ষার সংখ্যা ছিল ১৬,৫০০। পরে মে মাসের শেষে ২ লক্ষে গিয়ে দাঁড়ায় সেই সংখ্যা । গতকাল পর্যন্ত যে সংখ্যাটা ৩ লক্ষ পৌঁছেছে । এখন গড় পরীক্ষার পরিমাণ ৯,৫০০ । আমাদের ক্ষমতার থেকেও বেশি টেস্ট করা হয়েছে ।” যাঁদের মধ্যে অল্পবিস্তর উপসর্গ রয়েছে । এবার তাঁদের জন্য খোলা হচ্ছে সেফ হোম সেন্টার । তিনি বলেন, “ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কথা ভেবে সেফ হোম সেন্টার খোলা হচ্ছে। এপর্যন্ত ১০৪ টি সেফ হোম সেন্টার খোলা হয়েছে । যাঁদের অল্পবিস্তর উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের এই সেফ হোমে রাখা হবে । চিকিৎসকরা নিয়মিত এসে দেখাশোনা করবেন । এতে হাসপাতালের শয্যাগুলিকে গুরুতর রোগীর জন্য সংরক্ষণ করা যাবে । একইসঙ্গে ওই রোগীদেরও চিকিৎসা চলবে । “পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরায় সংক্রমণ যে বেড়েছে, আজ মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে ওঠে । মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “এপর্যন্ত ১২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন । সংক্রমণ কেন বেড়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । ” আজ ইন্টার্নদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইন্টার্নরা এইসময় কাজ করলে, তাঁদের বন্ডের সময়সীমাও কমবে । পাশাপাশি তাঁদের একটি কোভিড ওয়ারিয়র সার্টিফিকেট দেওয়া হবে ।” রাজ্যবাসীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”সবাইকে আমার অনুরোধ, দয়া করে মাস্ক ব্যবহার করুন । ঘণ্টায় ঘণ্টায় হাত ধোয়া অভ্যাস করুন । বেশ কিছুক্ষণ একই জায়গায় থাকবেন না । এর পাশাপাশি বলতে চাই, কোরোনা হলে লুকোবেন না । শরীর খারাপ লাগলে, হাসপাতালে ভরতি হন । চিকিৎসা শুরু করুন । “তিনি এও বলেন আক্রান্তের থেকে রাজ্যে সুস্থতার হার বেশি।