১৯ জানুয়ারি প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ৮৬তম জন্মদিনে। সেদিনই মুক্তি পাবে সৌমিত্র-র বায়োপিক ‘অভিযান’ ছবির টিজার। ছবিতে যুবক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন যিশু সেনগুপ্ত। প্রৌঢ়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় নিজে। উত্তম-সুচিত্রার ভূমিকায় রয়েছেন প্রসেনজিত্-পাওলি। সত্যজিত্ রায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন কিউ। ষাট বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছবি করেছেন তিনশোরও বেশি। এ সুদীর্ঘ যাত্রার ছোট-বড় মুহূর্ত থাকবে প্রত্যেক দৃশ্যে। ফেব্রুয়ারি মাসে ‘অভিযান’-এর শুটিং শুরু হয়েছিল পরে মার্চ মাসে লকডাউনের জন্য তা বন্ধ হয়ে যায়। জুলাই মাসে আবার শুরু হয় শুটিং। ছবির বাকি কাজও শেষ হয় আস্তে আস্তে। কিন্তু তারপর হঠাত্ নক্ষত্রপতন। বেশ কিছু সাক্ষাত্কারে পরিচালক বলেন, বায়োপিক বানিয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে না দেখাতে পারার আক্ষেপ থেকে যাবে তাঁর চিরকাল। ১৯ জুলাই সৌমিত্রবাবুকে নিয়ে এক স্মৃতিমেদুর পোস্ট করেন পরিচালক পরমব্রত। তিনি লেখেন, ‘প্রচার এর দায়িত্ত্বে যা শেয়ার করতে হয় অন্তর্জালে তার বাইরে কাজ নিয়ে খুব বেশি লেখালেখি করার অভ্যেস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি কিন্তু এই ছবিটি দেখাবার লোভ সামলাতে পারলাম না গতকাল আমাদের ‘অভিযান’ ছবির সৌমিত্র বাবুর অংশটি র চিত্রায়ন শেষ হলো আড্ডা দিতে দিতে জীবন কাহিনী এবং দর্শন বোঝার দিন গুলো থেকে শুট , মাঝপথে অতিমারী , অচলাবস্থা , তারপর আবার বিপুল টেনশন এবং ভয় নিয়ে এই সাম্প্রতিক শুট … অনেকটা সময় , অনেক মুহূর্ত , অনেক গল্প , অভিজ্ঞতা , মতের মিল অমিল সব শেয়ার করলাম অশীতিপর এই মানুষটির সঙ্গে অনেক পেলাম সবথেকে বেশি পেলাম সাহস সেইরকমই একটি মুহূর্ত এখানে …’। ঠিক দু’মাস আগে আজকের দিনে চলে গেছিলেন। কলকাতা দেখেছিল এক অধ্যায়ের সমাপ্তি। অগুন্তি মানুষ তাঁর প্রয়াণযাত্রায় পা মিলিয়েছিল সেদিন। সেদিন চলে গিয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তবে চলে গিয়েও তিনি যে বারবার ফিরে এসেছেন। কখনও বইয়ের পাতায়, কখনও কবিতায়, কখনও গানে, কখনও সিনেমায় আবার কখনও ২৬তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবের আলোচনা সভায়। তিনি বারবার এসেছেন। এবং তিনি ফিরে ফিরে আসবেন। আজ সকালের এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আবার উঠে এল অপুর কথা। আবার উঠে এল এক গল্পের কথা। তাঁর নিজের গল্প। তাঁর বায়োপিক।