আর কয়েক দিন পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হবে। এবার করোনা পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার লক্ষ্যে দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ধাপে ধাপে ইভিএম পরীক্ষা এবং তা জেলা থেকে মহকুমায় পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। নদীয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ শুক্রবার থেকেই জেলার সমস্ত ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে। ২২ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চারদিন জেলার চারটি মহকুমায় প্রশিক্ষণ চলবে। এরমধ্যে কৃষ্ণনগর সদর মহকুমার আটটি জায়গায় ৭৩টি ঘরে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। তারজন্য স্কুল, কলেজ সহ একাধিক সরকারি ভবন বেছে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির জন্য এবার নদীয়া জেলায় প্রায় ৪০শতাংশ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, এবার ১৩৯৪টি ভোটকেন্দ্র বেড়ে মোট ৫,৯৭৬টি হয়েছে। ভোটকর্মীর সংখ্যাও বাড়াতে হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে জেলায় প্রায় ১৫ শতাংশ মহিলা ভোটকর্মী রাখা হচ্ছে। তাঁদের মোট ১০০১ টি বুথে পাঠানো হবে। জেলার প্রায় ২৪হাজার ভোটকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এক আধিকারিক জানান, এছাড়াও বিশেষ কারণে আরও ১৫-২০শতাংশ ভোট কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাদের বিকল্প সময়ে কাজে লাগানো হবে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনিক দপ্তর থেকে জেলার চারটি মহকুমায় প্রায় ছ’হাজার ইভিএম মেশিন পাঠানো হয়েছে। ভোট ঘোষণার পরে তা বিধানসভা ভিত্তিক স্ট্রং রুমে পৌঁছে যাবে। বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদ অফিসে জেলার সমস্ত সরকারি দপ্তরের কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। বৈঠকে ভোট ঘোষণার পর কী করতে হবে তা প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়। জেলা নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানান, ভোট ঘোষণার ২৪ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত সরকারি অফিস এবং বিল্ডিং থেকে রাজনৈতিক দলগুলির ব্যানার-ফেস্টুন খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।