কলকাতাঃ এবার খোদ নিজেই অনবদ্য সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। অন্যবার পুজোর দিন দশেক আগে থেকে তৃতীয় পর্যন্ত প্রায় শ’খানেক পুজো উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এবার সেসব কার্যত বন্ধ করে অনলাইনে পুজো উদ্বোধন করবেন তিনি। এবার নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি একথা জানিয়ে দিলেন। যার জন্য তিন দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে।তিনি নিজেই শুধু নয়, সারা রাজ্যের সব পুজো কমিটিগুলিকেও তিনি ভার্চুয়ালভাবে পুজোর উদ্বোধন করার অনুরোধ করেছেন। দুর্গাপুজোর সময় মাস্ক ও কোভিড বিধি মেনে চলার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নাহলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে সতর্কও করে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে কলকাতায় একাধিক পুজোর মন্ডপে উদ্বোধক হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে। এবার আর সেই দৃশ্য দেখা যাবে না। নিউ নর্মালে পুজোর উদ্বোধন হবে ভার্চুয়াল। সোমবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এবার নবান্ন থেকে পুজোর উদ্বোধন ভার্চুয়ালি হবে। ১৬, ১৭ ও ১৮ অক্টোবর স্থির করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই তিন দিন প্রায় ৭০-৮০টি পুজোর উদ্বোধড় করবেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।উত্তর কলকাতার পুজো উদ্বোধন করব ১৬ অক্টোবর। ১৭ অক্টোবর দক্ষিণ কলকাতা ও ১৮ অক্টোবর বেহালার পুজোগুলোর উদ্বোধন করব।’ তিনি জানিয়ে দেন, ‘পুজো মন্ডপে মহিলারা প্রদীপ জ্বালাবেন আমি নবান্নে প্রদীপ জ্বালাব। ভার্চুয়ালি আমিও এখানে বসে দেখতে পাব ও ওরা মন্ডপে উদ্বোধন দেখবে।’স্থানীয়ভাবে পুজো উদ্বোধনের ব্যাপারেও জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনারা নিজেদের মত স্থানীয়ভাবে পুজো উদ্বোধন করতে পারেন। কোনও ভিআইপি ডাকার দরকার নেই।’ বড় পুজোগুলোর সামনে কালচারাল অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে এদিন ফের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীবাড়ি ছাড়া দিল্লির কোনও সর্বজনীন দুর্গাপুজোয় অনুমতি দেয়নি অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। অন্য রাজ্যে তো দেয়ইনি, আমি কিন্তু দিলাম। বাংলায় একমাত্র পুজোর পারমিশন দেওয়া হচ্ছে। উত্সব করুন, খুব নিয়ম মেনে। সকলকে বাঁচিয়ে করবেন।’ এছাড়াও, পুজোয় ভিড় এড়াতে সংবাদমাধ্যমকেও দায়িত্বশীল হতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ‘সকলকে অনুরোধ ভিড় বেশি হলে দয়া করে সেই ছবি দেখাবেন না। উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা দেখাবেন না। হাতজোড় করে বলছি, ভিড় হলে দেখাবেন না। কারণ, এবার এটা করা যাবে না।’ এদিনই তিনি চেতলা অগ্রণীর ঠাকুরের চক্ষুদান করেন বিকেলে। এই একটি ছাড়া অন্য কোনও পুজোমন্ডপে এবছর তিনি যাবেন না বলেই জানা গিয়েছে।খুব অল্প সময়ের জন্য উপস্থিত ছিলেন চেতলা অগ্রণীতে। কথা বললেন ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে, অন্যান্য উদ্যোক্তাদের সঙ্গেও।