জেলা মালদা

‘যারা রামবিদ্রোহী, তাদের বাংলায় স্থান নেই’, বললেন যোগী, তুললেন লাভ জেহাদ-গোহত্যা-দুর্গাপুজোর প্রসঙ্গ

মালদাঃ ভোটপ্রচারে রাজ্যে এসে শাসকদলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মঙ্গলবার মালদার গাজোলে পরিবর্তন যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে এসে লাগাতার তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন যোগী। তবে তাঁর আক্রমণের বেশিরভাগটাই ছিল সাম্প্রদায়িকতার বিষয় নিয়ে। সরাসরি সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ আনলেন রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। যোগীর অভিযোগ, ‘দুর্গাপুজো-মহরম একসঙ্গে পড়লে বাংলায় মহরমের অনুমতি দেওয়া হয়। দুর্গাপুজো বন্ধ রাখা হয়। ভোট ব্যাংকের জন্য বাংলার সংস্কৃতিকে নষ্ট করছে তৃণমূল।’ ভাষণের পরতে পরতে উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে বাংলার তুলনা টানলেন এই ‘কট্টরপন্থী’ হিন্দু নেতা। যোগী এদিন জানান, ‘বাংলা পবিত্র ভূমি। এই ভূমিতেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম। আজ এখানে গভীর সংকট। এখানে কেন্দ্র সরকারের কোনও প্রকল্প চালু করা হয়না। কেন্দ্রের প্রকল্পকে নাম বদলে চালানো হয়। বাংলায় আজ জয় শ্রীরাম বললেও মামলা করা হয়। মমতাজিকে বলতে চাই ,উত্তরপ্রদেশে অরাজকতা শেষ করেছি। বাংলায় পরিবর্তন আনতে হবে। যারা রামবিদ্রোহী, তাদের বাংলায় কোনও জায়গা নেই। তৃণমূল সরকার ব্যর্থ। যে ভাষায় কথা বলা হচ্ছে, তা বাংলার অপমান। উত্তরপ্রদেশে আইন শৃঙ্খলাতে উন্নতি হয়েছে, বাংলায় শুধু তোষণের রাজনীতি হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গো হত্যা বন্ধ হয়ে যাবে।’ বাংলায় এসে ফের একবার এনআরসি ও সিএএ নিয়ে জোর সওয়াল করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি জানিয়েছেন, ‘মোদীজি পাকিস্তান, বাংলাদেশের পীড়িত সকল ধর্মের মানুষের জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করেছেন। বাংলার সরকার অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দেয়। বাংলায় আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি সংস্কৃতির কদর করা হচ্ছে না। তার অপমান করা হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে বাংলার পরিবর্তন দেখা যাবে।’ পাশপাশি বাংলায় যুবসমাজের কর্মের অভাব প্রসঙ্গে যোগী জানান, ‘বাংলাকে এগিয়ে আসতে হবে, ভারতের উন্নতিতে। ভারতের যুবসমাজ আগে আসত বাংলায় কাজের জন্য। এখন সেই পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন বাংলার ছেলে মেয়েরা বাইরে যাচ্ছে। বাংলায় কুটিরশিল্প ভেঙে পড়েছে। বাংলা আগে দেশকে দিশা দেখাত, নেতৃত্ব দিত। এখন পিছিয়ে পড়েছে। তৃণমূল নেতারা সব টাকা খেয়েছে।’ ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলায় কেন্দ্রের প্রকল্প চালু হয় না। বাংলায় পরিবর্তন আনতে হবে। এখানে কোনও কল্যাণকারী যোজনা চালু করা হয়না। উত্তরপ্রদেশে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। বাংলায় অজ্ঞাত রোগের কেস লুকোনো হয়। তাতে বহু লোক মারা যায়। দুর্গাপুজো করতেও সমস্যা হয় এখানে।’