‘এখন আদি বিজেপি নেতাকর্মীদের কোনও সম্মান নেই, কাজ করার সুযোগ নেই, নব্য বিজেপি অর্থাৎ শুভেন্দুর অনুগামীদের রাজ চলছে। দলে আদিরা স্থান পাচ্ছেন না। কাজ করতে পারছেন না। দল থেকে আদিদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ এই সব বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেই শুভেন্দুগড়ে দল ছাড়লেন দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতা বিজন দাস। যোগ দিলে তৃণমূলে। আর তাঁর এই যোগদান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে নন্দীগ্রামে্র বুকে বড়সড় ধাক্কা। কেননা বিজনবাবু সাধারন কোনও বিজেপি নেতা নন। তিনি নন্দীগ্রাম বিধানসভার তিনবারের বিজেপি প্রার্থী, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় কমিটির সদস্য এবং সোনাচূড়া অঞ্চল নির্বাচনী কমিটির পর্যবেক্ষক। তাঁর এই জার্সি বদলের জেরে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি যে সোনাচূড়ায় ধাক্কা খেতে চলেছে সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শুক্রবার বিজনবাবু তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন। তাঁকে দলে যোগদান করান তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান পীযুষ ভূঁইয়া। এছাড়াও সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম -১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ, যুব তৃণমূলের সভাপতি আসগর আলি সহ অন্যান্যরা। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের পর বিজনবাবু সাংবাদিকদের জানান, ‘মা মাটি মানুষের সরকার অর্থাৎ তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের সঙ্গে থেকে এলাকার সাধারণ মানুষের উন্নয়নের কাজ করতেই যোগদান করেছি। কোনও চাপের মুখে নয়। নিজের ইচ্ছায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছি। বিজেপি’র আসল রূপ মানুষ চিনে গিয়েছেন। এখন আমার মতো নেতাকর্মীরাও বুঝতে পারছেন। রাজ্যে যে একমাত্র তৃণমূলই থাকবে, সেটা সবাই বুঝতে পারছেন, তাই একে একে সবাই তৃণমূলের ছাতার তলায় আসবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় বিজেপি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।’