দেশ

উত্তরপ্রদেশের মেরঠে দলিত নাবালিকাকে অপহরণ করে ‘গণধর্ষণ’, ধরা পড়তে গ্রামবাসীদের গুলি করে পালাল অভিযুক্তরা

দলিত নাবালিকাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ ৷ তাকে বাঁচাতে গেলে গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালাল অভিযুক্তরা ৷ এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে ৷ জানা গিয়েছে, ১৫ বছরের এক দলিত কিশোরী ক্ষেতের দিকে যাচ্ছিল ৷ সেই সময় তাকে তিন যুবক অপহরণ করে৷ এরপর তারা নাবালিকার হাত-পা বেঁধে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । তাতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি ৷এই ঘটনা ঘটানোর পর ২৪ ঘণ্টা কিশোরীকে আটকে রাখে অভিযুক্তরা ৷ নাবালিকা প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয় । এদিকে সারাদিন ঘরে না ফেরায় পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা কিশোরীর খোঁজে জঙ্গলে যায় ৷ সেখানে অভিযুক্তরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় । পরে পালিয়ে যায় ওই তিন যুবক । পুলিশ মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে । পুলিশের কাছে জমা পড়া অভিযোগ অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নাবালিকার বাবা পেশায় শ্রমিক । তাঁর রোজগারেই সংসার চলে ৷ মেয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ৷ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ শৌচকার্যের জন্য জঙ্গলে গিয়েছিল। সেই সময় ওই গ্রামের দু’জন ও অন্য গ্রামের এক যুবক মিলে তাঁর মেয়েকে হুমকি দিয়ে অপহরণ করে ৷ এরপর তারা মেয়েটিকে গ্রামের কাছের অন্য একটি জঙ্গলে নিয়ে যায় । সেখানেই তাকে তিনজন মিলে গণধর্ষণ করে ৷এদিকে সন্ধ্যার সময় পরিবারকে এক প্রতিবেশী জানায়, অভিযুক্তরা মেয়েটিকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়েছে। অভিযুক্তদের নামও বলেন সেই প্রতিবেশী। এতে পরিবারের সদস্য ও সমাজের লোকজন অভিযুক্তদের বাড়িতে পৌঁছে যান । পরিবারের সদস্যদের কাছে মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয় ৷ এরপর সবাই মেয়েটিকে খুঁজতে খুঁজতে জঙ্গলে পৌঁছে দেখে নাবালিকা সেখানে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷জ্ঞান ফিরলে সে তার পরিবারকে গোটা ঘটনায় কথা বলে ৷ সে জানায়, গণধর্ষণের প্রতিবাদ করায় তাকে মারধরও করা হয় । এমনকী ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়েছিল ৷ অভিযুক্ত তিনজনই কাছের একটি নলকূপে উপস্থিত ছিল সেই সময় । পরিবারের লোকজন ও গ্রামবাসী সেখানে পৌঁছলে অভিযুক্তরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় । কিন্তু গ্রামবাসীরা অল্পের জন্য রক্ষা পান। ঘটনার পর নির্যাতিতার বাবা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন । এই ঘটনায় থানার সিও মাওয়ানা সৌরভ সিং জানান, ধর্ষণ এবং পকসো আইনে একটি রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে । মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ।