বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আটলান্টিকের নীচে নামার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই টাইটানে বিস্ফোরণ, দাবি মার্কিন কোস্ট গার্ডের

গত ১৮ জুন কানাডার উপকূল থেকে আটলান্টিকের গভীরে যাত্রা শুরু করে ডুবোযান ‘টাইটান’। কিন্তু যাত্রা শুরুর পৌনে দু’ঘণ্টার মধ্যেই দিক নির্দেশকারী জাহাজ বা কমান্ড শিপ ‘পোলার প্রিন্স’-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার। ২২ তারিখ টাইটানিকের থেকে ১৬০০ মিটার দূরে টাইটানের ধ্বংসাবশেষের হদিশ পায় মার্কিন কোস্ট গার্ডের রোবট ডুবুরি। পর্যটন ডুবোযানের হদিশ মেলার চারদিনের মাথায় দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে শুরু হল তদন্ত। এদিন টাইটানের কমান্ড শিপ ‘পোলার প্রিন্স’-র ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখছেন মার্কিন কোস্ট গার্ডের প্রতিনিধিরা। টাইটানিক পর্যন্ত অভিযানের ব্যবস্থা করেছিল ওশেনগেট এক্সপিডিশন নামের একটি মার্কিন বেসরকারি সংস্থা। সেখানকার কর্তা-ব্যক্তিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কানাডার পরিবহণ নিরাপত্তা পর্ষদের চেয়ারম্যান ক্যাথি ফক্স জানিয়েছেন, “আমরা দুর্ঘটনার আসল কারণ খুঁজে বের করতে বদ্ধপরিকর। অভিযানের দায়িত্বে থাকা সংস্থা তরফে কোনও ত্রুটি ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তবে এই তদন্ত শেষ করতে দেড় থেকে দু’বছর লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। ক্যাথির দাবি, সমুদ্রের গভীর থেকে টাইটানকে তোলার চেষ্টা করা হবে। ডুবোযানের ধ্বংসাবশেষ মিললে সেগুলিকে যাবে ফরেন্সিক পরীক্ষায়। সেই রিপোর্ট হাতে এলেই মিলবে বহু অজানা প্রশ্নের উত্তর।তবে প্রাথমিক তদন্তে মার্কিন কোস্ট গার্ডের দাবি, জলের অতিরিক্ত চাপের জেরেই টাইটানে বিস্ফোরণ হয়। যার জেরে টুকরো টুকরো হয়ে যায় ওই ডুবোযান। মুহূর্তের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার মধ্যে থাকা পাঁচ অভিযাত্রীর। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আটলান্টিকের নীচে নামার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই বিস্ফোরণ ঘটে।