জেলা

উলুবেড়িয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে মহিলার যৌন নির্যাতন, ভোটের আগের দিন অভিযোগ তৃণমূলের

নির্বাচনী কর্তব্য করতে আসা কেন্দ্রীয়বাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে এক স্থানীয় মহিলাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল উলুবেড়িয়ায়। সোমবারই হাওড়া জেলার এই লোকসভা কেন্দ্রে পঞ্চম দফার লোকসভা ভোট। ঘটনাটি ঘটেছে তার আগের দিন অর্থাৎ রবিবার ভোরে উলুবেড়িয়ার চণ্ডীপুরে। বিষয়টি রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রক্ষক করে বাংলায় পাঠানো হচ্ছে, তাঁরাই বাংলার মহিলাদের শ্লীলতা হানি করছেন? যৌন নির্যাতন করছেন! তাঁর কথায়, ‘‘রবিবার ভোরে এক মহিলা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন উলুবেড়িয়ার চণ্ডীপুর অঞ্চলে। সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে জওয়ানরা ওখানে রয়েছেন, তাঁরা এসে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন। কুপ্রস্তাব দেওয়ার পরে স্বাভাবিক ভাবেই ওই মহিলা তা প্রত্যাখ্যান করেন। তার পরে দু’জন সিআইএসএফ জওয়ান তাঁর শ্লীলতাহানি করে। তার গায়ে হাত দেয়, তাঁকে বিভিন্ন ভাবে যৌন স্পর্শ করে এবং আক্রমণ করে।’’ শশী জানিয়েছেন, ওই মহিলা যথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি এই ঘটনার পরে চিৎকার করে ওঠেন। সেই চিৎকারে এলাকার মানুষ ছুটে আসেন। তারপরে ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। ওই মহিলা ওই জওয়ানের নামও পড়েছেন। এ ব্যাপারে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পাশাপাশি উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর এজেন্ট বিষয়টি এলাকার নির্বাচনী পর্যবেক্ষককেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন। সূত্রে খবর, ওই মহিলা অভিযোগ করেছেন, রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে উলুবেরিয়ার কুলগাছিয়ায়। গ্রামের ফাঁকা রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণরত ওই মহিলাকে দেখে দুই উর্দি পরিহিত জওয়ান অশ্লীল ইঙ্গিত করেন, কুপ্রস্তাবও দেন। প্রতিবাদ করলে একজন জওয়ান তাঁকে জড়িয়ে ধরেন এবং চুম্বন করেন। মহিলা চিৎকার করলে এক জন জওয়ান পালিয়ে যান। গ্রামবাসীরা অন্য জনকে হাতে নাতে ধরে।এই ঘটনার পরে ওই জওয়ানকে উলুবেড়িয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি-সহ একাধিক ধারায় মামলা করে তদন্ত শুরু করেছে। অন্য জওয়ানকেও চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। কিন্তু তৃণমূলের প্রশ্ন, ‘‘এই কেন্দ্রীয় বাহিনীই আর কয়েক ঘণ্টা পরে উলুবেড়িয়ায় ভোটের দায়িত্ব সামলাবে! তার আগে তারা এ ভাবে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে!’’