উপনির্বাচনের আগে একজন মহিলাকে যৌন হেনস্থা করার অযোগ উঠেছে সাগরদীঘি কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে। কংগ্রেস দলের প্রার্থী হিসেবে আসন্ন সাগরদীঘি উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বায়রন বিশ্বাস। কংগ্রেসের এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে হাওড়ায় বসবাসকারী এক মহিলাকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। হেনস্থার শিকার ওই মহিলা সাঁকরাইল থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এই ঘটনায় কংগ্রেসকে তোপ দাগল তৃণমূল কংগ্রেস।তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, যৌন নিগ্রহের ঘটনায় বায়রন বিশ্বাস যে দোষী, কংগ্রেসের নীরবতাই তার প্রমাণ। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, “নিপীড়িতা ওই মহিলা ২১ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, কিন্তু দু’ দিন পরেও কংগ্রেস এই বিষয়ে নীরব রয়েছে৷ এই নীরবতার মানে কী? তাহলে কি অভিযোগ সত্য? একজন প্রার্থী হিসাবে বায়রন বিশ্বাসের নৈতিক দায়িত্ব সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, তা না হল জনগণ তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ সত্য বলে মনে করবেন।” তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা নেতৃত্ব বলছে, “নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কংগ্রেসের নেতাদের সমস্ত বক্তৃতা বৃথা যাবে যদি তাদের দল এই রকম একজন প্রার্থী, যার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছ, তার পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।” তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ যেন একটি নির্দিষ্ট দল গঠন করে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করে৷”
অন্যদিকে গত রবিবারই জনসভার মঞ্চ থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরিকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অধীরকে মীরজাফর বলেও তোপ দাগেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ। পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের ছবি প্রকাশ করে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে আঁতাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে সমর্থন করা’। হাত শিবিরকে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, ‘কংগ্রেসের জেতার সম্ভাবনা নেই, যদি যেতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদ্মফুলে চলে যাবে।’ সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরি কেন রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা না নিয়ে কেন্দ্রের নিরাপত্তা নেন, তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। যদিও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থীর ছবি অনেক আগের বলে দাবি করেছে কংগ্রেস।