বাংলায় বিজেপিকে গোহারা হারানোর পর ভিনরাজ্যে সংগঠন বিস্তারে মনোনিবেশ করেছে তৃণমূল। দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্য তৃণমূলের প্রথম টার্গেট। সেই টার্গেটের একটা অংশ ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে অভিযান। আর অসমে মিত্রশক্তির খোঁজে রয়েছে তৃণমূল। এরই মধ্যে দক্ষিণের রাজ্যেও হানা দিতে শুরু করেছে তৃণমূল।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে ডেরেক-দেবেগৌড়া বৈঠকের দুটি আঙ্গিক রয়েছে। এক কর্ণাটকের নির্বাচন সামনেই। সেই নির্বাচনের আগে যদি দক্ষিণের রাজ্যে খাতা খোলা যায়। আর দুই, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার জন্য মিত্রশক্তিকে সম্বলিত করাও এই বৈঠকের কারণ হতে পারে। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের এখনও তিন বছর বাকি প্রায়। এখন থেকেই জোটের সলতে পাকানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দিল্লিতে দরবার করে বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে একের পর এক বৈঠক করেছেন। কংগ্রেসও তৃণমূলের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে জোট-গড়ার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার সঙ্গে ডেরেকের দীর্ঘ বৈঠক ঘিরে জল্পনার পারদ চড়ে। এই বৈঠক থেকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন দেবেগৌড়ার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তা থেকেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে তৃণমূল দক্ষিণের রা্জ্যেও সংগঠন বিস্তারের চেষ্টায় রয়েছে। তৃণমূল চাইছে দক্ষিণের রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতা মতো জোটসঙ্গী খুঁজে নিতে। কোনও আঞ্চলিক দল বা মঞ্চকে তারা বেছে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। সেইমতোই কর্ণাটকে আঞ্চলিক দল জেডিএস। তাঁদের হাত ধরে পথ চলতে চাইছে তৃণমূল। আর বৈঠক যে অনেকটাই ফলপ্রসূ তার প্রমাণও মিলেছে এবার। কেননা টুইট দেবেগৌড়া লিখেছেন- আমার বন্ধু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন আমার থেকে বয়সে অনেকটা নবীন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। আমাদের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনার আদান-প্রদান হয়েছে। তাঁর এই টুইটের পর জাতীয় রাজনীতিতেও আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলকে নিয়ে।ডেরেকের সঙ্গে বৈঠকের পর দেবেগৌড়া টুইট করে যে বার্তা দিয়েছেন, তা তৃণমূলের পক্ষে আশাব্যাঞ্জক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।