ফের অশান্ত ভাঙড় । বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ৷ ঘটনায় আইএসএফকে অভিযুক্ত করেছে তৃণমূল । মৃত ব্যক্তির নাম রেজ্জাক খাঁ । তৃণমূল দলীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারের কাছে ওই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পরে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলেও অভিযোগ ৷ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ খবর পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । এই প্রসঙ্গে, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে আঘাতের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। তদন্ত সবে শুরু হয়েছে এখন কিছু বলা মুশকিল।” রেজ্জাক খাঁ তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সক্রিয় নেতা ৷ এছাড়াও তিনি ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ বলেও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে । রাজনৈতিক কারণে এই হামলা কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে । ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় । স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তায় নামে । তৃণমূলের একাংশের দাবি, এটা পরিকল্পিত হামলা । রেজ্জাক খাঁ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় দলের সংগঠনের কাজ করতেন । তৃণমূলের বিধানসভা কমিটিরও সদস্য ছিলেন । তাঁর জনপ্রিয়তাই এই হামলার পিছনে অন্যতম কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা । তৃণমূলের অভিযোগ, নওশাদ সিদ্দিকীর মদতেই আইএসএফ এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ অন্যদিকে, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশবাহিনী । সরাসরি আইএসএফ বিধায়কের নাম নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “নওশাদ সিদ্দিকীর মদতে খুন করা হয়েছে । বিকেল থেকে দুটো মিটিং শেষ করে বাড়ি ফিরছিল রেজ্জাক । রাস্তায় তাঁকে গুলি করে, কুপিয়ে খুন করা হয়েছে । আসলে ভাঙড় এলাকায় ওদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলে এইসব কাজ করছে । পুলিশকে বলব, অবিলম্বে এই সমাজবিরোধীদের গ্রেফতার করতে হবে ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ।আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রেজ্জাককে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পরে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়েছে ।”
অন্যদিকে, এ বিষয়ে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকেরা যুক্ত নয় ৷ তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসন সঠিকভাবে তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিক।”


