প্যারিসে ওলিম্পিকসের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। বিশ্ব ক্রীড়ার এই মহোৎসবের ঢাকে কাঠি পড়বে শুক্রবার। তার আগেই ছন্দপতন! ফ্রান্সের এই রাজধানী শহরে এক অস্ট্রেলীয় তরুণীকে ৫ দুষ্কৃতী গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা আফ্রিকান বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। অলিম্পিক গেমসের আগে বিদেশি খেলোয়াড়, কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অতিথি-অভ্যাগতরা আসতে শুরু করেছেন প্যারিসে। তার মধ্যেই এই ঘটনায় সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তদন্ত শুরু হলেও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ফরাসি পুলিস সূত্রে খবর, গত ২০ জুলাই (শনিবার) ভোররাতে নিগ্রহের শিকার হন ২৫ বছরের ওই অজি তরুণী। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে বাঁচতে তিনি একটি কাবাবের দোকানে আশ্রয় নিতে ছুটে আসেন। সেখানে উপস্থিত লোকজনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানান তিনি। এই ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ওই তরুণীর পোশাক ছেঁড়া পোশাক পরেই দৌড়ে আসেন। ওই পোশাক উল্টো করে পরা ছিল। ওই তরুণীর পিছু ধাওয়া করে দোকানে আসে এক অভিযুক্ত। নির্যাতিতা তখন উপস্থিত সকলের সামনে ওই যুবককে চিহ্নিত করেন। কিন্তু হেলদোল ছিল না অভিযুক্তর। নির্যাতিতার পিঠে আলতো টোকা মেরে খাবারের অর্ডার দেয় সে। এরইমধ্যে দোকানের মালিক ও কর্মীরা তাকে ধরার চেষ্টা করতেই সে পালিয়ে যায়। এরপরই আপৎকালীন সাহায্যের জন্য দোকান থেকে পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দু’জন পুলিস অফিসারকে নির্যাতিতা সঙ্গে কথা বলতেও দেখা গিয়েছে ভিডিও ফুটেজে। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই তরুণী পুলিসকে অভিযোগ করেছেন, পাঁচ আফ্রিকান যুবক তাঁকে গণধর্ষণ করেছে। কিন্তু, কোন জায়গায় তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে, তা তিনি বলতে পারেননি। তবে জানা গিয়েছে, উত্তর ফ্রান্সের পিগালে জেলায় নির্যাতনের শিকার হন তিনি। শুক্রবার রাতে তিনি মউলিন রাউজ ক্যাবারেটের আশপাশের বার ও ক্লাবে মদ্যপান করেন। সেখানেই তিনি অভিযুক্তদের খপ্পরে পড়েন। ঘটনার পরের দিনই দেশে ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও তদন্তের স্বার্থেই ওই তরুণী এখন প্যারিসেই রয়েছেন। এই গণধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়েছিল ওলিম্পিকসে অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান আন্না মেয়ারেসের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, ‘খবরটা শুনেছি। সব অ্যাথলিটকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।