বাঁচানো গেল না গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের যুবনেতাকে । শনিবার রাত দু’টো নাগাদ মৃত্যু হয় মহরম শেখের । শনিবার সন্ধ্যায় ক্যানিংয়ে নিজের বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হন মহরম । রাতেই তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয় । ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস জানান, চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা করেছেন ৷ তবে ব্যর্থ হয়েছেন ৷ গভীর রাতে মহরমের মৃত্যু হয়েছে ৷ মহরম শেখের শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক ছিলই । বুকের ডানদিকে যেখানে গুলি লাগে সেখান থেকে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল । কোনও ভাবেই তা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছিল না । পাশাপাশি তিনি সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন, যার জন্য বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করাই যায়নি । তবে চিকিৎসকরা সবরকম ভাবে চেষ্টা করেন । তবু শেষ রক্ষা হল না । গতকাল সন্ধ্যায় ক্যানিং থানার নিকারিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার যুব তৃণমূল সভাপতি মহরম শেখ নিজের বাড়ির সামনে বসেছিলেন । একটি অটো হঠাৎই তাঁর বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায় । একদল দুষ্কৃতী এসে তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালায় ৷ কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই চম্পট দেয় তারা । গুলির শব্দে চমকে ওঠেন স্থানীয়রা । তাঁরা ছুটে এলে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছেন তৃণমূল নেতা । তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।মহরম শেখকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে । সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার পর কলকাতার হাসপাতালের স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা ৷ এরপর তৃণমূল নেতাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । এসএসকেএম ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করা হয় তাঁকে । যুব তৃণমূল নেতার গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান ক্যানিং পূর্ব ও পশ্চিম কেন্দ্রের দুই বিধায়ক পরেশরাম দাস ও শওকত মোল্লা । কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তার বিবরণী দিতে গিয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “মহরম হেঁটে এসে আমাদের ওই চেয়ারে বসেছিল । ওরা চারজন অটো নিয়ে এসেছিল । মিয়ারুল, হাফিজুল আর রফিক । আরেকজনকে ঠিক চিনতে পারিনি । এসে তিন রাউন্ড গুলি ছুড়ে এখান থেকে ছুটে চলে গেল ।” ওই প্রত্যক্ষদর্শীর সংযোজন, “গাড়িটা এমন অবস্থায় গেল সামনে থাকলে চাপা দিয়ে দিত ।” তিনি একে ‘পার্টিগত বিষয়’ বলে দাবি করলেও, আততায়ীরা কোন দল করে সেটা বলতে পারবেন না বলে জানান । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।