দেশ বিদেশ

ভারতের উপর ৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্কের নিন্দায় সরব চিন

ভারতীয় পণ্যের আমদানির শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, শুল্ক বিরোধের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে কোনও বাণিজ্য আলোচনা হবে না। মূলত, রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল কেনা নিয়েই আমেরিকার সঙ্গে বিরোধের সূত্রপাত ৷ মার্কিন শর্ত মেনে রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে রাজি নয় দিল্লি ৷ এই মতোবিরোধের জেরেই ‘জরিমানা’ বাবদ ভারতের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা ৷ বুধবারের শুরুতে, হোয়াইট হাউস ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। এই আদেশ জারির ফলে ভারতের উপর মোট মার্কিন শুল্ক ৫০ পৌঁছেছে। ট্রাম্প প্রশাসন রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখার জন্য ভারতের সমালোচনা করে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে অর্থায়নের অভিযোগ করেছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসনের ব্যাখ্যা যা-ই হোক না কেন, বিদেশ মন্ত্রক ভারতের উপর ৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্ক চাপানোকে ‘অন্যায়, অন্যায্য, অযৌক্তিক’ বলে ব্যাখ্যা করেছে ৷ মার্কিন শুল্ক হুমকি প্রসঙ্গে চিনকে পাশে পেল ভারত ৷ ভারতের উপর অন্যায্যভাবে শুল্ক বৃদ্ধির ঘটনায় কড়া ভাষায় ট্রাম্প প্রশাসনের নিন্দা করেছে চিন ৷ ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘এক ইঞ্চি জমি ছাড়লে, এক মাইল নিয়ে নেবে’৷ ওই পোস্টেই লেখা ছিল, ‘অন্যান্য দেশকে দমন করার জন্য শুল্ককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা রাষ্ট্রসংঘের সনদের নিয়মের লঙ্ঘন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মের অবমূল্যায়ন এবং অস্থিতিশীল।’ চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গুও জাকুন বলেছেন, “রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করে আমেরিকা এর অপব্যবহার করছে। শুল্ক সম্পর্কে চিনের একটি স্পষ্ট নীতি রয়েছে এবং তারা এর বিরোধিতা করে। চিনা মুখপাত্র বলেছেন যে, আমেরিকা প্রযুক্তি এবং বাণিজ্য বিষয়গুলিকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। চিনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমেও ভারতের সমর্থনে প্রকাশ্যে লেখা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন যে, চিন এই সুযোগকে পুঁজি করে ভারতকে নিজের পক্ষে আনার চেষ্টা করছে।” ভারতের মতো, ব্রাজিলও ৫০ শতাংশ মার্কিন শুল্কের মুখোমুখি হচ্ছে। এটি যে কোনও বাণিজ্য অংশীদারের উপর আমেরিকার আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্ক। এর আগে, চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইও আমেরিকার নাম উল্লেখ না করলেও শুল্ককে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অন্যান্য দেশকে দমন করার কৌশলের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।