আর জি করের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সারা দেশ। ন্যায় বিচারের দাবিতে চলছে আন্দোলন। এরইমধ্যে আইআইটি বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (বিএইচইউ) ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলায় তিন অভিযুক্তর মধ্যে দু’জন জামিন পেয়ে গিয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই বিজেপির আইটি সেলের সদস্য। জেলের বাইরে বেরোনোর পর এই দুই গুণধরকে ফুল-মালা দিয়ে রীতিমতো বরণও করা হয়েছে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এমন একটা গুরুতর অপরাধে অভিযুক্তরা মাত্র সাত মাসেই জামিন পেয়ে গেল কী করে? বিরোধীদের দাবি, এই ঘটনায় নারী সুরক্ষা নিয়ে বিজেপির ভণ্ডামিই বেআব্রু হয়ে গেল। সেইসঙ্গে তাদের অভিযোগ, অভিযুক্তদের সঙ্গে গেরুয়া দলের তাবড় নেতাদের ছবি রয়েছে। এমন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিস দুর্বল মামলা সাজানোর জন্যই তারা ছাড়া পেয়ে গেল। কংগ্রেসের কটাক্ষ, ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। গত নভেম্বরে আইআইটি বিএইচইউ চত্বরে ওই ছাত্রী নিগ্রহের শিকার হন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সংসদীয় কেন্দ্র বারাণসীর এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা টানা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। চাপের মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত তিন অভিযুক্ত কুণাল পান্ডে, সক্ষম প্যাটেল ও অভিষেক চৌহানকে যোগীরাজ্যের পুলিস গ্রেপ্তার করে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট গত জুলাই মাসে অভিষেক ও কুণালের জামিন মঞ্জুর করে। গত সপ্তাহে তারা বারাণসী জেল থেকে ছাড়া পায়। অন্য অভিযুক্ত সক্ষমের জামিনের আর্জির শুনানি হবে চলতি মাসে। সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের উপর দায় চাপিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপির রাজনীতি ও নৈরাজ্যে মানুষ বীতশ্রদ্ধ। কংগ্রেস এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিশানা করেছে। তারা বলেছে, এই ঘটনায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে মোদি সরকার ও বিজেপির দ্বিচারিতা সামনে চলে এল। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কংগ্রেস বলেছে, বিএইচইউ-র ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপির আইটি সেলের দুই সদস্য জামিন পেয়েছে। জেলের বাইরে বেরোনোর পর তাদের সাড়ম্বরে স্বাগত জানানো হয়েছে। তাদের আরও দাবি, গণধর্ষণের ঘটনার পর অভিযুক্তদের মধ্যপ্রদেশের ভোটে বিজেপির প্রচারে পাঠানো হয়েছিল। কংগ্রেস আরও বলেছে, বিজেপিতে অভিযুক্তদের গুরুত্ব রয়েছে। মোদি, যোগী, নাড্ডা ও বিজেপির অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও অভিযুক্তদের ছবি রয়েছে।