দেশ

জোর করে ট্রাফিক কন্ট্রোলে ঢুকে ফ্লাইট ওড়ার ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য চাপ, অভিযুক্ত বিজেপির ২ সাংসদের বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর

জোর করে বিমানবন্দরে ঢুকে সূর্যাস্তের পর চার্টাড ফ্লাইটকে ওড়ার ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য চাপ। ঝাড়খণ্ডের দেওঘর বিমানবন্দরের এই ঘটনায় রাজ্যের দুই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও মনোজ তিওয়ারি সহ ন’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল। ঝাড়খণ্ডে চলতি রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে এই ঘটনা নতুন করে বিতর্ক তৈরি করল। অভিযোগ, গত ৩১ অগাস্ট ঝাড়খণ্ডের দুই বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ও মনোজ তিওয়ারি বিমানবন্দরের হাই সিকিউরিটি জোন হিসাবে পরিচিত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল এলাকায় ঢুকে পড়েন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দুবের ছেলে সহ সাতজন। তখন সূর্য ঢুবে গিয়েছে। অভিযোগ, দুই গেরুয়া সাংসদ এটিসিকে চাপ দিতে থাকেন যে, তাঁদের চার্টাড ফ্লাইটকে ওড়ার ছাড়পত্র দিতে হবে। এটিসির পক্ষ থেকে বলা হয়, সূর্য ডুবে গিয়েছে। এখন আর বিমান ওড়ানোর অনুমতি দেওয়া যাবে না। কিন্তু সাংসদরা বিমান ওড়ার ছাড়পত্র পেতে চাপ দিতে থাকেন। তাঁদের চাপে পড়ে শেষমেশ বিমান ওড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরই হাই সিকিউরিটি জোনে বিনা অনুমতিতে জোর করে অনুপ্রবেশ সহ বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে দুই বিজেপি সাংসদ সহ ন’জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন বিমানবন্দরের সিকিউরিটি ইনচার্জ সুমন আনান। দেওঘরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মঞ্জুনাথ বাজোন্ত্রির সঙ্গে নিশিকান্ত দুবের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। কীভাবে নিরাপত্তা ভেঙে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল এলাকায় ঢুকে জোর করে ফ্লাইট ওড়ানোর ছাড়পত্র আদায় করেন দুবে, সেই বিবরণ দিয়ে সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (সিভিল অ্যাভিয়েশন)-কে চিঠি লিখেছেন মঞ্জুনাথ। পাল্টা দেওঘরের পুলিশ সুপারের কাছে সাংসদের কাজে একজন আমলা বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন নিশিকান্ত দুবে। পরে টুইটে মঞ্জুনাথকে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ‘চামচা’ বলেও অভিহিত করেন সাংসদ। পাল্টা সাংসদকে বিঁধে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে একজন সাংসদ হয়ে দুবে নিরাপত্তা ভেঙে বিমানবন্দরে ঢুকে প্লেন ওড়ার ছাড়পত্র আদায় করেন।