দেশ

কেরলে দুই শিশুর শরীরে মিলল নোরো ভাইরাস, জারি সতর্কতা

করোনাভাইরাসের পর মাঙ্কিপক্স ভাইরাস উদ্বেগ বাড়াচ্ছিল। কিন্তু, এই দুই ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা নেই দেশে আবার নতুন ভাইরাসের থাবা। কেরালাতে দুইজনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে নোরোভাইরাস। ইতিমধ্যেই দুই শিশুর শরীরে মিলেছে এই ভাইরাসের উপস্থিতি। যা ঘিরে চরম উদ্বেগ দানা বেঁধেছে। মূলত খাবার এবং জলের মধ্যে দিয়ে এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করে সেই সঙ্গে এটি অত্যন্ত সংক্রামক বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে জারি করা হয়েছে চুড়ান্ত সতর্কবার্তা। নোরোভাইরাসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে বমি এবং ডায়রিয়া দেখা দিচ্ছে। এই ভাইরাসে আক্রান্তরা এক থেকে দু’দিনের মধ্যেই পেটে ব্যথা, জ্বর, মাথাব্যথা এবং শরীরে ব্যথা অনুভব করেন সঙ্গে বমি এবং ডায়রিরাও দেখা দিতে পারে। তিরুবনন্তপুরমের প্রাইমারি স্কুলে ইতিমধ্যেই মিলেছে ২ আক্রান্তের হদিশ। জানা গিয়েছে ২ শিশুর মধ্যে বমি, ডায়রিয়া এবং জ্বর রয়েছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিভানকুট্টি স্কুলগুলিকে মিড-ডে মিল রান্নার সময়ে আরও বেশি সাবধানতা মেনে চলার অনুরোধ করেছেন। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিনা জর্জ বলেছেন, ‘এই ভাইরাস খুবই সংক্রামক। আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি, ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এই ভাইরাস সম্পর্কে পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের সতর্ক করা হচ্ছে’। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ‘দুই শিশুর দেহে নোরোভাইরাস ধরা পড়েছে। তবে তাঁরা সুস্থ রয়েছে। এখনই এই নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কিন্তু,এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে সাধারণ মানুষকে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে’।
সরকারি সূত্রের খবর ২ শিশুর মধ্যে জ্বর, পেট খারাপের উপসর্গ দেখে তাদের নমূনা ল্যাবে পাঠানো হয়। তাতেই স্পষ্ট হয় ছাত্ররা নোরোভাইরাসে আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “বারবার হাত ধোয়া, বাইরের খাবার বুঝে খাওয়া, বেশি করে জল খাওয়ার মাধ্যমে এই ভাইরাসকে দূরে রাখা সম্ভব।” এখনই নরভাইরাসকে নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।