শুক্রবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় আগরতলার নবনির্মিত জিএসটি ভবনের। ফলক উন্মোচন এবং ফিতে কেটে এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি তথা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে আগরতলা এম বি বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড: মানিক সাহা। এইদিন নবনির্মিত জিএসটি ভবনের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির ভাষণে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে জিএসটির ইতিবাচক দিকগুলি সম্পর্কে অবগত হতে হবে এবং নিজেদের প্রতিষ্ঠানকে জিএসটি নথিভুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন জিএসটির উপযুক্ত ব্যবহারে নজির স্থাপন করেছে উত্তর পূর্ব ভারত। তার মধ্যে ত্রিপুরা সামনের সারিতে। নবনির্মিত এই জিএসটি ভবনকে সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত ব্যবহার করে রাষ্ট্রহিতে নিজেদের যোগদান দিতে সকলের প্রতি আহ্বান করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রী ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের অর্থ দপ্তরের রাজ্য প্রতি মন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী, ভারত সরকারের রাজস্ব সচিব সঞ্জয় মলহোত্রা, সিবিআইটিসি-এর চেয়ারম্যান বিবেক জোহরি। অনুষ্ঠান শেষে নবনির্মিত ভবন প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপন করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তারপর নবনির্বিত ভবনের সামনে ফটোসেশনে যোগ দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তারপর তিনি ত্রিপুরার একমাত্র গ্রামীণ ব্যাঙ্ক “ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের” সৌরশক্তি দ্বারা চালিত ভ্রাম্যমাণ এটিএম এর শুভ উদ্বোধন করেন বেসরকারি একটি হোটেলে। এখন থেকে ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সমস্ত ভ্রাম্যমাণ এটিএম ও এটিএম কাউন্টার থেকে সব ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন সব ব্যাঙ্কের গ্রাহকগণ। এই ভ্রাম্যমাণ এটিএম এর সঙ্গে ব্যাঙ্কের একজন করে ব্যাঙ্ক সখা থাকবেন গ্রামীণ জনগনকে সাহায্য করার জন্য। ভ্রাম্যমাণ এটিএম ত্রিপুরার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়মিতভাবে গ্রাহকসেবায় নিয়োজিত থাকবে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তারপর ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ১২১ জন বিজনেস করেসপন্ডেনসদের সঙ্গে কীভাবে গ্রামীণ জনগনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব সেই বিষয়ে মত বিনিময় করেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ভুয়সী প্রশংশা করেন ত্রিপুরার গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকার জন্য।