বিজেপির জেলা সংগঠনের একজন নেতার কোনও গুরুত্ব তাদের কাছে নেই। নাম না করে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারণ দাবি করলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউজে বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে বৈঠক শেষে বিজেপির ‘বিদ্রোহী’ সাংসদ নাম না করে অমিতাভ চক্রবর্তীর উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘‘কোনও এক বিশেষ ব্যক্তি দলের বরিষ্ঠ নেতাদের বাদ দিয়ে সংগঠন কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে কমিটি গঠন করেছে ৷ ঘটনায় অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অন্য দলের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগও এনেছেন শান্তনু ঠাকুর ৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির অন্তর্কলহ যে ক্রমশ আরও জটিল আকার ধারণ করছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শনিবারও পোর্ট গেস্ট হাউসে ছিল বৈঠক। শান্তনু ঠাকুরের পৌরহিত্যে এদিনের বৈঠকে যোগ দেন জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসু, অসীম সরকার-সহ বেশ কয়েকজন বিক্ষুব্ধ নেতা। বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও গরহাজির প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ কৌশিক ঘোষ ও তাপস ঘোষ এই বৈঠকে অংশ নেন। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মূলত বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবি নিয়ে আলোচনা হয়। জেলা কমিটি ঠিক কীভাবে সাজানো উচিত, তেমন একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এদিকে, এদিন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরও একবার দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শান্তনু। ‘একজন’ দলের ক্ষতি করার চেষ্টায় উঠে পড়ে লেগেছেন বলেই অভিযোগ তাঁর। তবে এই নেতার নাম স্পষ্ট করে বলতে চাননি তিনি। দাবিপূরণ না হলে আগামী দিনে আন্দোলন যে আরও বৃহত্তর রূপ নেবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন শান্তনু।