স্থায়ী চাকরি সহ একাধিক দাবিতে শ্রম দপ্তরের ঠিকা শ্রমিকদের বিক্ষোভ নেতাজি ইন্ডোরে । মন্ত্রীদের সামনেই চলে বিক্ষোভ-স্লোগান-চেয়ার ছোড়াছুড়ি । ছেঁড়া হয় হোর্ডিং, ফেস্টুন । ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটকের সামনেই চলে বিক্ষোভ । বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাধন পাণ্ডে, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়রাও । শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক আজ বিভিন্ন দপ্তরের অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের নিয়ে সভা করেন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে । সেখানে চটকল সহ বিভিন্ন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন । শ্রমিকদের অন্যতম অভিযোগ ছিল, বিগত ১০ মাস ধরে তাঁরা কেউ বেতন পাচ্ছেন না । এরই মধ্যে হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে মঞ্চের দিকে একটি প্লাস্টিকের চেয়ার উড়ে আসে । চেয়ার এসে পড়ে মঞ্চের ঠিক সামনে । লক্ষ্য ছিলেন পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । চেয়ার ছোড়াছুড়ি-স্লোগান-বিক্ষোভের মধ্যেই নেতাজি ইন্ডোর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা । রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা । নেতাজি ইন্ডোরের বাইরে ছেঁড়া হয় শ্রমিক নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্ল্যাকার্ড । বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি ছিল, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের বেতন নিয়মিত করতে হবে । কথা দিতে হবে, অবিলম্বে বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে । প্রয়োজনে নবান্ন অভিযানেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন তাঁরা । কিন্তু যেভাবে শ্লোগান উঠেছে, যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া হোর্ডিং আর গেট ভাঙচুর করা হয়েছে এবং যেভাবে রাস্তায় বসে পড়ে অবরোধ করা হয়েছে তা দেখে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অনুমান গোটা ঘটনাই কার্যত সুপরিকল্পিত এক চক্রান্ত। আর সেই ঘটনার পিছনে গেরুয়া শিবিরের ইন্ধন, প্ররোচনা বা সমর্থনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ রয়েছে বলেই মনে করছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা।