দেশ

ধর্ষণকাণ্ডে বিচার না পেয়ে আত্মঘাতী উত্তরপ্রদেশের মহিলা, কাঠগড়ায় বিএসপি সাংসদ অতুল রায়

 গত সপ্তাহে ২৪ বছরের একটি মেয়ে দিল্লি সুপ্রিমকোর্টের বাইরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক পুরুষ বন্ধু। যার বয়স ২৭। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেছেন। স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাঁদের দু’জনকে আরএমএল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, যখন তাঁদের আনা হয়, তখন যুবতীর শরীর ৮৫ এবং যুবকের শরীরের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেদিনই অস্ত্রোপচার করে চিকিত্‍সা শুরু করা হয়। কিন্তু গত শনিবার ওই যুবক মারা যান। মেয়েটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিল। মঙ্গলবার তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, মেয়েটি উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরের ছাত্রী। গত ১৬ আগস্ট তাঁর বন্ধুর সঙ্গে দিল্লিতে এসেছিলেন তিনি। সেদিনই তাঁরা আগুন লাগিয়ে নেন নিজেদের ওপর। কিন্তু তার আগে একটি ফেসবুক লাইভ করেন। যেখানে তাঁরা বলেন, ‘আমি বিএসপি সাংসদ অতুল রায়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করতে চাই। এই কেসে জড়িয়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের সিনিয়ার আইপিএস অফিসার এবং এক বিচারক।’ নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে সাংসদ অতুল রায় ওই যুবতীকে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতা ২০১৯ সালের মে মাসে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। জানা গিয়েছে, তাঁর সঙ্গে অতুল রায়ের পরিচয় হয় ছাত্র ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময়। সাংসদের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিলেন। ২০১৮ সালের ৭ মার্চ অতুল মেয়েটিকে তার বারাণসীর বাড়িতে ডেকে যৌন নির্যাতন করে। সাংসদ অতুল রায় এই ঘটনার ভিডিও করে মেয়েটিকে ভয় দেখাত। ২০১৯ সালের ২২ জুন অতুল রায় আত্মসমর্পণ করে। বিচারসভায় তাকে জেলে পাঠানো হয়। ঘোষী লোকসভা আসনে সে জেল থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। জিতেও যায়। তারপর থেকেই মেয়েটি তাঁর প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে যান। উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে এই তদন্তের জন্য দুই সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। তবে অবশেষে আত্মহত্যার পথই বেছে নেন নির্যাতিতা।