ফের প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আত্মীয়ের নির্মমতার চিত্র। উত্তর প্রদেশের বরৈলিতে এক রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে খাবার না পেয়ে রাগে রেস্তোরাঁর কর্মীদের উপরই গাড়ি চড়িয়ে দিতে গেলেন মন্ত্রীর ভাগ্নে! বিষয়টি জানাজানি হতেই এবং অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিশ বুধবার আটক করল অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত অমিত কুমার সাক্সেনা উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী অরুন কুমার সাক্সেনার ভাগ্নে। প্রায়সময়ই তিনি বিভিন্ন জায়গায় মন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে বিনামূল্যে বা বিশেষ সুবিধা উপভোগ করতেন। মঙ্গলবার রাতে তিনি কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে বরৈলির রাস্তার ধারের একটি রেস্তোঁরায় যান । সেখানে তাঁদের খেতে দিতে বললেও, রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, কর্মীরা খাবার দিতে অস্বীকার করেন। রেস্তোরাঁ মালিকের ছেলের সঙ্গেও বচসা হয় অভিযুক্তের। এরপর তিনি ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান। পরে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি ফের ফিরে আসেন রেস্তোরাঁয়। সেই সময় রেস্তোরাঁর কর্মীরা বাইরে রাখা একটি খাটিয়ায় বসে খাবার খাচ্ছিলেন। মন্ত্রীর ভাগ্নে গাড়ি নিয়ে সোজা তাঁদের চাপা দিতে যান। দ্রুত গতিতে গাড়ি আসছে দেখেই রেস্তোরাঁর কর্মীরা খাবার ফেলে ছুটে পালিয়ে যান। বরৈলির পুলিশ সুপার রাহুল ভাটি জানান, মঙ্গলবার রাতে পুলিশের কাছে ফোন আসে যে এক ব্যক্তি রেস্তোরাঁর কর্মীদের উপরে গাড়ি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরে রেস্তোরাঁর মালিক নরেশ কাশ্যপের ছেলে সুশান্ত কাশ্যপের বয়ানের ভিত্তিতে প্রেমনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। বুধবার আটক করা হয় অভিযুক্ত অমিত কুমার সাক্সেনাকে। রেস্তোরাঁ মালিকের ছেলে সুশান্ত কাশ্যপের অভিযোগ, তিনিও বিজেপি করেন। প্রায় সময়ই অভিযুক্ত তাঁদের রেস্তোরাঁয় আসতেন এবং বিনামূল্যে খাবার সহ নানা পরিষেবা গ্রহণ করতেন। মন্ত্রীর আত্মীয় বলেই তাঁকে এই সমস্ত সুযোগ সুবিধা দিতে হত। মঙ্গলবারের ঘটনার পরই রাতে তিনি মন্ত্রীর বাড়িতে যান অভিযোগ জানাতে। কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, মন্ত্রীমশাই এখন ঘুমোচ্ছেন, তিনি যেন সকালে আসেন। হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীরাও অভিযোগ করেছেন যে মন্ত্রীর ভাগ্নে গাড়ি দিয়ে তিনবার হোটেলের সম্পত্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন।