শালিমারে ঢোকার আগে নলপুরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনা। যার জেরে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। খড়গপুর থেকে হাওড়া যাওয়ার আপাতত সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে। খড়গপুর ডিভিশনে হাওড়া যাওয়ার সমস্ত লোকাল ট্রেন আপাতত বাতিল করা হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, শনিবার ভোর ৫টা ৩১ মিনিট নাগাদ ডাউন শালিমার-সেকেন্দ্রাবাদ সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। সেকেন্দ্রাবাদ থেকে শালিমারের দিকে আসছিল ট্রেনটি। নলপুরের কাছে ট্রেনের গতি কম থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আধিকারিকেরা। যাত্রীরা সকলে সুরক্ষিত আছেন বলেই খবর। যদিও এই ঘটনায় ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। সকাল ৬টার হাওড়া রৌরকেল্লা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, ৬টা ১০-এর হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত, ৬টা ২০ মিনিটের হাওড়া বারবিল জন শতাব্দী এক্সপ্রেস এখনও অবধি দাঁড়িয়ে রয়েছে প্ল্যাটফর্মে। কখন ছাড়বে কেউ কিছু বলতে পারছে না। ১২৮০৯ মুম্বাই মেল সাত ঘন্টা দেরিতে ছিল। এখন টাটানগরে আরও ৩ ঘন্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। প্রত্যেকেরই বক্তব্য রেল কর্তৃপক্ষ কোনওভাবে ইনফরমেশন দিচ্ছে না। কখন ট্রেন ছাড়াবে বা আদৌ ছাড়বে কিনা সেই সম্পর্কে কোন নিশ্চয়তা পাওয়া যাচ্ছে না হাওড়া স্টেশন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। অনেকেই বয়স্ক, আবার অনেকেই গতকাল রাত্রে স্টেশনে ছুটে এসেছেন ট্রেন ধরবার জন্য। এরকম পরিস্থিতিতে প্রবল অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, যাত্রিবাহী ট্রেনের পর পর তিনটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। তার মধ্যে একটি পার্সেল ভ্যান হলেও দু’টি কামরায় যাত্রীরা ছিলেন। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। দুর্ঘটনার জেরে রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত রইল বহুক্ষণ।