ঢাকাঃ বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান গোপালগঞ্জের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত চারজনের মৃত্যু হল ৷ বুধবার আওয়ামী লিগের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে এই চারজনের প্রাণ গিয়েছে ৷ এখানেই বাংলাদেশের নতুন দল এনসিপির সভা করার কথা ছিল ৷ তার আগেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ৷ এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় গোপালগঞ্জে এদিন রাত আটটা থেকে ২২ ঘণ্টার কারফিউ জারি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয় ৷ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গি পাড়ায় বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের জন্ম ৷ এই এলাকাটি আওয়ামী লীগের গড় হিসেবে চিহ্নিত ৷ মৃতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গিয়েছে ৷ তাঁরা হলেন গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫) এবং কোটালিপাড়ার রমজান কাজী (১৮) ও টুঙ্গিপাড়ার সোহেল মোল্লা ৷গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের খবর পেতেই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ২০০ জওয়ানকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে । অন্তর্বর্তী প্রশাসনের তরফ স্পষ্ট বলা হয়েছে, এই হামলায় জড়িত কাউকেই রেয়াত করা হবে না । স্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানিয়েছে, কয়েকশো লোক হাতে লাঠি ও বাঁশ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । ঘটনাস্থলে যাওয়া বিজিবি জওয়ানরাও আক্রান্ত হন ।এনসিপির কর্মী-সমর্থক থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের গাড়িতে ভাঙচুর চলেছে । পাশাপাশি সভাস্থলে থাকা বেশ কয়েকটি মাইকও ভেঙে ফেলা হয়েছে । ওই অবস্থাতেই সভা করে এনসিপি ।


