ফের উত্তপ্ত বিজেপি শাসিত মণিপুর। শনিবার জিরিবাম জেলায় দু’গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে পাঁচ জন। ফলে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে। মণিপুরে জঙ্গি নাশকতা সন্দেহে চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এ দিনও জঙ্গি ডেরার খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছে মণিপুর পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যৌথ দল। ইতিমধ্যেই ধ্বংস করা হয়েছে জঙ্গিদের তিনটি বাঙ্কার। তবে তার মধ্যেই জিরিবাম জেলায় গুলি চলার ঘটনায় নতুন করে অশান্ত পরিস্থিতি। চলতি মাসের শুরুতেই কাংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলে বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনায় নিহত হন দু’জন। আহত হন কমপক্ষে সাত জন। দু’টি ক্ষেত্রেই হামলা হয় মেইতেই জনগোষ্ঠীর এলাকায়। এই হামলা কুকিরাই চালিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষ্ণুপুর জেলার মৈরাংয়ের ফিওয়াংবাম লেইকাই এলাকায় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মৈরেম্বাম কৈরেং সিংয়ের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। আর রে রাবেই নামে স্থানীয় এক সত্তরোর্ধ্ব পুরোহিতের মৃত্যু হয়। জখমও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলাকালীন এই হামলা হয় বলে জানা যাচ্ছে।পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, স্থানীয় ভাবে তৈরি হলেও উন্নত প্রযুক্তির ছিল ওই ক্ষেপণাস্ত্র। ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে সেটির। মেইতেই এবং কুকিদের গোষ্ঠী কোন্দলের মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে কয়েকটি ভিডিয়ো। তা দেখিয়ে কুকিদের দাবি, মেইতেই সশস্ত্র বাহিনী আরাম্বাই টেঙ্গলের সদস্যরা এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে মেইতেই এলাকাতেই আছড়ে পড়ে। বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় শনিবার সকাল থেকে টহল দিতে শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।