বিদেশ

ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে কূটনৈতিক রক্ষাকবচ দিল দক্ষিণ আফ্রিকা

 ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কূটনৈতিক রক্ষাকবচ দিল দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার। ওই কূটনৈতিক রক্ষাকবচের ফলে আন্তর্জাতিক আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্বেও রুশ প্রেসিডেন্টের গ্রেফতারের কোনও সম্ভাবনা আর রইল না। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, শুধু পুতিনই নয়, ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে কেপটাউনে পা রাখা প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রনেতা ও আধিকারিকদের জন্য কূটনৈতিক রক্ষাকবচ থাকছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে গত মার্চ মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক আদালত। যদিও আন্তর্জাতিক আদালতের ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে রাজি হয়নি একাধিক দেশ।  তবে যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক আদালতের সদস্য ফলে পুতিন ওই দেশে পা রাখলে তাঁকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হতো সরকার। আন্তর্জাতিক আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরে আগামী অগস্ট মাসে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্ট হাজির থাকবেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। ব্রিকস জোটের বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানার কিভাবে মোকাবিলা করা হবে সে বিষয়েও আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার। তার পরেই রুশ প্রেসিডেন্টকে কূটনৈতিক রক্ষাকবচ বা ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জাতিসঙ্ঘের জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, কোনও কূটনীতিককে ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি বা কূটনৈতিক দায়মুক্তি প্রদানের অর্থ হলো তাকে গ্রেফতার বা আটক করা যাবে না। তার নিরাপত্তার দায়িত্ব ওই দেশের সরকারের।