রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি গাড়ি বহরের অত্যন্ত দামী একটি লিমুজিন গাড়িতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। আশ্চর্যের বিষয় হল, সেই বিস্ফোরণটি ঘটেছে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি-র সদর দফতরের একদম কাছেই। লিমুজিনটিতে আগুন ধরার সঙ্গেসঙ্গে জরুরি পরিষেবার কর্মীরা আসার আগেই কাছের একটি বার থেকে কর্মীরা সাহায্য করতে ছুটে আসেন। ঘটনাটি লুবিয়াঙ্কায় FSB গোপন পরিষেবা সদর দফতরের কাছে ঘটেছে। জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে আগুন ধরে যাওয়া অরাস সেনাট লিমুজিনটির দাম ২ লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ড। এই গাড়িটি রুশ প্রেসিডেন্টের যাতায়তের জন্যে বরাদ্দ। লিমুজিনে আগুন লাগার একটি ভিডিও ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, আগুন গোটা গাড়িটিকে গ্রাস করছে এবং তারপরে গোটা গাড়িই জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, শনিবার, লুবিয়াঙ্কার কাছে অবস্থিত মস্কোর এফএসবি সদর দফতরের উত্তরের একটি রাস্তায় এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি দাবি করেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন “শীঘ্রই মারা যাবেন,” যা ইঙ্গিত দেয় যে তার মৃত্যু রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে। The Kyiv Independent অনুযায়ী, জেলেনস্কি ২৬ মার্চ প্যারিসে ইউরোপীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারের সময় এই মন্তব্য করেছিলেন। ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ, রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে এবং বর্তমানে প্রায় ১,১৩,০০০ বর্গকিলোমিটার বা প্রায় ২০% ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে রাশিয়া। এই সংঘাতের ফলে ১,০০০ কিমি (৬২১-মাইল) ফ্রন্টলাইনে তীব্র লড়াই হয়েছে। বর্তমানে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার যুদ্ধ শেষ করার জন্য আলোচনা চলছে। সেই আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, আশেপাশের বিল্ডিং থেকে অনেকেই এসে সেই গাড়ির আগুন নেভাতে সহায়তা করছেন। গাড়ির ইঞ্জিন থেকে এই আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়। এরপর গাড়ির অন্যত্র সেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। এদিকে ঘটনার সময় গাড়িতে কে ছিলেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি এবং এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে।
