৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে ভোট। কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছে সব দল। কমিশনের অন্দরেও সাজো সাজো রব। এবার হাই ভোল্টেজ এই উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ইভিএম মেশিনও। একেবারে নতুন ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল সেগুলোকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর ব্যবহার হয়নি। অবশেষে এবার ‘রিজার্ভ’ ইভিএমকেই কাজে লাগানো হচ্ছে। তাদের এক দফা পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। ‘মক পোল’-ও হয়েছে এক হাজারটি করে। আগামী সপ্তাহে আবার খোলা হবে। এখন ইভিএমগুলো স্ট্রং রুমে রাখা হয়েছে। ২১, ২২, ২৩ তারিখ আবার পরীক্ষা হবে। তার পর দরকার হলে আবারও পরীক্ষা। ভবানীপুরের আট ওয়ার্ডে ২৮৭টি বুথ রয়েছে। প্রতি বুথে সম সংখ্যক ইভিএমও বরাদ্দ। রিজার্ভেও বেশ কিছু বাড়তি ইভিএম রাখা থাকবে। সমস্যা হলে, দ্রুত ইভিএম মেরামত করে বা পালটে নতুন যন্ত্র যাতে বুথে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তার জন্য আবেদন করা হয়েছে। নন্দীগ্রামে ইভিএম কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এবার তাই এই ভোটযন্ত্র নিয়ে সচেতন হয়ে পা ফেলতে চাইছে তৃণমূল। এবার ভবানীপুরেও যাতে ইভিএম নিয়ে কোনও রকম কারচুপি না হয়, সেটা দেখতে বুথের এজেন্ট ও গণনাকেন্দ্রের কর্মীদের বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা ছাড়া আমরা কোনও ইভিএমকেই গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছি না।’ কর্মীদেরও কড়া নির্দেশ দিয়েছেন পার্থ। বলেছেন, ‘প্রত্যেকটা ইউনিট এবং ব্যালট দেখে নেবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁরা সন্তুষ্ট হচ্ছেন, ততক্ষণ এই মেশিন ভাল করে দেখে নেওয়া হবে।’