প্রাথমিক টেট ২০২২ এর ফল প্রকাশ করল পর্ষদ । শুক্রবার দুপুর ১টার পর সাংবাদিক বৈঠক করে ফল ঘোষণা করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। ১ থেকে ১০ এর তালিকায় ১৭৭ জন চাকরিপ্রার্থী জায়গা করে নিয়েছেন বলে এদিন জানান তিনি। ২০২২ এর প্রাথমিক টেটে প্রথম হয়েছেন বর্ধমানের ইনা সিং। এবারের টেটে পাশ করেছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৯১ জন চাকরিপ্রার্থী। পরীক্ষায় বসেছিলেন ৬ লাখ ২০ হাজার জন। গত ১১ ডিসেম্বর প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা হয়েছিল রাজ্যে। পরীক্ষা হওয়ার দু মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন ৬ লাখ ৯০ হাজার ৯৩২ জন। ডিসেম্বরের ১১ তারিখে পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ৬ লাখ ২০ হাজার জন। পাশ করেছেন ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৯১ জন। শতাংশের নিরিখে ২৪.৩১। মহিলা পাশ করেছেন ৬৯ হাজার ৪০৮ জন। ৪৬.১২১ শতাংশ। পুরুষ পাশ করেছেন ৮১ হাজার ৭৭ জন। ৫৩.৮৭ শতাংশ। অন্যান্য পাশ করেছেন ৬ জন। ১ থেকে ১০ এর মধ্যে ১৭৭ জন রয়েছেন। প্রথম হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের ইনা সিংহ। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ১৫০-এর মধ্যে ১৩৩। দ্বিতীয় হয়েছেন ৪ জন। প্রাপ্ত নম্বর ১৩২। চারজনই মহিলা। হুগলির মৌনিসা কুণ্ডু, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেঘনা চক্রবর্তী, পশ্চিম মেদিনীপুরের দীপিকা রায়, পূর্ব বর্ধমানের অদিতি মজুমদার। তৃতীয় হয়েছেন চারজন। এরমধ্যে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের বিকাশ ভক্ত, পশ্চিম মেদিনীপুরের মনামী অধিকারী, বাঁকুড়ার প্রহ্লাদ মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগনার মেহেদি হাসান,। সকলেরই প্রাপ্ত নম্বর ১৩১। শুক্রবারই ওয়েবসাইটে রেজাল্ট দেখতে পাবেন পরীক্ষার্থীরা। বেলা ৩টে থেকে ওয়েবসাইটে রেজাল্ট দেখা যাবে। ওএমআর বারকোড নম্বর-সহ ফল থাকবে সেখানে। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “নিজের কপির সঙ্গে তুলনা করে দেখুন কোনও অসঙ্গতি আছে কি না।” সুযোগ থাকছে পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি ও ভেরিফিকেশনেরও। দু’টি ওয়েবসাইটে রেজাল্ট জানা যাবে। ওয়েবসাইটে ওএমআর শিটও দেখতে পাবেন পরীক্ষার্থীরা। প্রশ্নে ‘টেকনিক্যাল গ্লিচ’ বা প্রযুক্তিগত কোনও ত্রুটি থাকলে সকলে ৪ নম্বর করে পাবেন। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও জন্মের তারিখ দিয়ে ওয়েবসাইটেই রেজাল্ট দেখতে হবে। একইসঙ্গে এদিন পর্ষদ সভাপতি ঘোষণা করেন, এ বছর আবারও টেট হবে। যদিও আগেই তিনি বলেছিলেন, এবার বছর বছর টেটের কথা।