জেলা

রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া এবার জলপাইগুড়িতে, ৩দিন ধরে মৃতের পচাগলা দেহ আগলে স্ত্রী ও মেয়ে

ফের রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া ৷ অকুস্থল এবার জলপাইগুড়ি ৷ মৃতদেহ তিনদিন ধরে আগলে স্ত্রী ও মেয়ে (৷ দুর্গন্ধ বেরোতেই স্থানীয়রা খবর দিলেন পুলিশে ৷ জানা গিয়েছে তিস্তা ব্যারেজের কর্মরত অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বছর আশির অজিত কর্মকার বাড়িতেই থাকতেন ৷ তাঁর সঙ্গে কাউকে দেখা বা কথা বলতে দিতেন না স্ত্রী অঞ্জলি কর্মকার ও মেয়ে অনিন্দিতা কর্মকার ৷ দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং শারীরিক অত্যাচার চলত। গত তিনদিন তাঁকে দেখা যায়নি বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর। শুক্রবার সকাল থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে থাকলে প্রতিবেশীরা কাউন্সিলর তারকনাথ দাসকে খবর দেন। থানায় গিয়ে পুলিশকে জানাতে গেলে তিনি দেখেন থানায় বসে রয়েছেন অজিত কর্মকারের স্ত্রী। এরপর কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। অজিত কর্মকারের বোন গীতা কর্মকার দাদার মুখ দেখতে চাইলে আপত্তি করে মেয়ে অনিন্দিতা কর্মকার ৷ কাউন্সিলর তারকনাথ দাস বলেন, “দুর্গন্ধ বেরোনোর (Decomposed Body) বিষয়টি জানাতে থানায় গিয়েছিলাম। তখনই তাঁর স্ত্রী স্বামী মারা যাওয়ার খবর জানাতে যান ৷ কাউন্সিলরের প্রাথমিক অনুমান তিনদিন ধরেই মৃতদেহ আগলে রেখেছিলেন স্ত্রী ও মেয়ে। এটা কীভাবে সম্ভব ভাবতেই অবাক লাগছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক এটাই চাই। মৃতের বোন গীতা কর্মকার অভিযোগ করেন, তাঁর দাদাকে স্ত্রী ও মেয়ে মিলে মেরে ফেলেছেন। মেয়ে বাবার উপর অত্যাচার করত। তাঁকে দাদার সঙ্গে দেখা করতে দিত না।”