ক্রাইম দেশ

দেওরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা! প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরে ইলেকট্রিক শক দিয়ে স্বামীকে খুন, নৃশংস ষড়যন্ত্রের হদিস মিলল চ্যাটে

নয়াদিল্লিঃ প্রেমিক-দেওরের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও, মৃত ব্যক্তির প্রাথমিক তদন্ত মনে করা হয়েছিল যে ইলেকট্রিক শকের কারণে তার মৃত্যু হয়। কিন্তু পরবর্তী তদন্তে মোড় ঘুরিয়ে দেয় গোটা ঘটনার। উঠে আসে হাড়হিম তথ্য, যেখানে জড়িয়ে বিশ্বাসঘাতকতা ও ষড়যন্ত্র। প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচৈতন্য করা হয় ৷ এরপর ইলেকট্রিক শক দিয়ে স্বামীকে খুনের অভিযোগ উঠল মহিলার বিরুদ্ধে ৷ সোশাল মিডিয়া চ্যাটে কথাও হয় দু’জনের ৷ হাড়হিম ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির উত্তম নগর এলাকায় ৷ দিল্লির উত্তম নগরের এক হাসপাতাল থেকে গত ১৩ জুলাই করণ দেব নামে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর আসে পুলিশের কাছে ৷ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার উত্তর অঙ্কিত সিং জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ ৷ দেহটি হেফাজতে নিয়ে দিনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো ৷ কিন্তু, প্রথমে তাতে সায় মেলেনি মৃতর পরিবারের ৷ তবে, মৃত্যুর পরিস্থিতি সন্দেহজনক হওয়ায় বাধ্যতামূলকভাবে ময়নাতদন্ত করা হয় ৷ এরপর দাদার মৃত্যু নিয়ে ১৭ জুলাই সন্দেহ প্রকাশ করেন ভাই কুণাল দেব ৷ ডিসিপি অঙ্কিত গুপ্তা জানান কুণালের দাবি, তাঁর খুড়তুতো ভাইয়ের ফোনে কিছু আপত্তিকর চ্যাট দেখতে পান ৷ চ্য়াটে করণকে ঘুমের ওষুধ এবং বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে । এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ ৷ তদন্তে মৃতের স্ত্রী ও তুতো ভাইয়ের কথোপকথনে পুরো বিষয়টি জলের মতো স্বচ্ছ হয়ে যায় পুলিশের কাছে ৷ পুলিশের দাবি চ্যাটে লেখা, “তিন ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে সে খাবার খেয়েছে, একবার দেখে নাও ওষুধ খাওয়ার পর তার মৃত্যু হতে কতক্ষণ সময় লাগবে । তিন ঘন্টা হয়ে গেছে সে খাবার খেয়েছে কিন্তু কিছুই হচ্ছে না… সে এখনও মারা যায়নি ৷” এরপর মহিলা এবং তার প্রেমিক দেওরকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত উভয়ই তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে । তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত স্ত্রী তার স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় এবং স্বামী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর প্রেমিক রাহুলের সঙ্গে মিলে ইলেকট্রিক শক দিয়ে তাঁকে খুন করে ৷