জেলা

‘সন্দেশখালির ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো, স্থানীয় বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে তাঁকে সই করিয়ে নেন’, দাবি নির্যাতিতাদের

ভোট আবহে সন্দেশখালি কাণ্ডে নয়া মোড়। ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা মহিলাই বলছেন, তিনি যা বলেছেন তা সত্যি নয়। স্থানীয় বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ভুল বুঝিয়ে সাদা কাগজে তাঁকে সই করিয়ে নেন। বিজেপি নেত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। ভোট আবহে সম্প্রতি একটি স্টিং ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। ওই স্টিং ভিডিওয় স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, সন্দেশখালির ‘ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো’। তাঁর দাবি, পুরো বিষয়টি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরিকল্পনামাফিক ঘটানো হয়েছে। ‘খালি হাতে নয়’, টাকা-মদের বিনিময়ে এই সমস্ত কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলেও ভিডিওতে দাবি করেছেন তিনি। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রকাশ্যে আরও একটি ভিডিও। যাতে ধর্ষণের অভিযোগ জানানো মিতা মাইতি নামে এক মহিলাকে বিস্ফোরক দাবি করতে শোনা গিয়েছে। ওই মহিলার দাবি, “সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে উত্তেজনার আবহে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা গ্রামে আসেন। শাশুড়ি ও বউমাকে ডেকে পাঠান। তাঁর সামনে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। তার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ঠিক সাতদিন পর দুজনে জানতে পারেন, তাঁদের সাদা কাগজে সইয়ের ভিত্তিতেই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” রান্নার কাজ করতেন তাঁরা। অথচ টাকা পাননি। সে অভিযোগই রেখাদেবীর সামনে করেছিলেন বলেই দাবি ওই মহিলার। সেটিই নথিভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানতেন বলেই দাবি মহিলার। দুই বধূর দাবি, “পড়াশোনা বেশি দূর করিনি। আমরা জানতেই পারলাম না সাদা কাগজের সই করার পর কী হতে পারে! মাঝেরপাড়ার প্রতিবেশীরা আমাদের সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলছেন না। কার্যত একঘরে হয়ে গিয়েছি। সন্দেশখালিতে মা-বোনেদের ভুল বুঝিয়ে নারীর সম্মান বিক্রি করে দিয়েছে। এই ধরনের রাজনীতি ভাবতে পারছি না। নারী সম্মান বিক্রি করে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা তুলছে।” থানায় লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেবেন বলেই জানিয়েছেন বধূ। তিনি বলেন, “দেশের মানুষের কাছে নারীর সম্মান ওরা বিক্রি করে দিয়েছে। বিচার হওয়া উচিত।” অবিলম্বে বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বধূ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, একের পর এক ভিডিওয় সন্দেশখালি ইস্যুতে যথেষ্ট চাপে গেরুয়া শিবির, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।