জেলা

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে জুতো, ঝাঁটা দেখালেন মহিলারা

বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে তাঁর জেলাতেই জুতো, ঝাঁটা দেখাল তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক মহিলারা। মঙ্গলবার গঙ্গারামপুরের রাঘবপুরে পুনর্নির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের ভোট দিতে বাধা ও দলীয় প্রার্থীকে আটকানোর খবর শুনেই  ঘটনাস্থলে পৌঁছন সুকান্ত মজুমদার। তিনি রাঘবপুরের গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা পথ আটকে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। সুকান্ত মজুমদারকে উদ্দেশ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী সনাতন কর্মকারকে লক্ষ্য করে চোর চোর স্লোগান ওঠে। তৃণমূল সমর্থক মহিলারা দলবেঁধে সাংসদকে জুতো, ঝাঁটা দেখান। কোনওরকমে সুকান্তবাবুকে পুলিস এলাকা থেকে নিরাপদে বের করে দেয়। সুকান্তবাবু বিজেপি কর্মী ও নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার জন্য কুশমণ্ডিতে গেলে মহিপাল রাজ্য সড়কে একই কায়দায় পথ আটকে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল অনুগামীরা। জেলা পরিষদের ৩ নম্বর আসনের প্রার্থী যুব তৃণমূল নেতা বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব দেন। টানা দেড় ঘণ্টার বেশি সময় মহিপাল রাজ্য সড়কের উপর বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে আটকে রাখা হয়। পরে কুশমণ্ডি থানার বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ভোটগ্রহণের সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুকান্তবাবুকে আটকে রাখা হয়। বিকেল ৫টা বাজার পর সুকান্তবাবুর রাস্তা ছেড়ে দেয় তৃণমূল কর্মীরা।  তৃণমূলের অভিযোগ, নির্বাচনী বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে সুকান্তবাবু যাওয়ায় বিধিভঙ্গের অভিযোগে তারা পথ আটকানো হয়েছে। জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, গত ৮ জুলাই সুকান্ত মজুমদার একাই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে ময়দান কাঁপিয়েছেন। পুনর্নির্বাচনে ফের যাতে তিনি কিছু করতে না পারেন, সেজন্যই পরিকল্পনা করে তাঁকে আটকে রাখা হয়।  বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাঘবপুরে ছাপ্পা ভোট দিতে ভোটার ও বিজেপি প্রার্থীকে আটকানোর চেষ্টা করে শাসক দল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের অদূরে তৃণমূলের রান্নাবান্না চলছে। পরিকল্পনা করে তৃণমূল আমার রাস্তা আটকে দেয়। এমনকী বিজেপির নির্বাচনী এজেন্টকেও বের করে দেয়। একই কায়দায় কুশমণ্ডির মহিপালে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় রাস্তা আটকে রাখে জেলা পরিষদ প্রার্থী অম্বরিশ সরকার সহ তৃণমূলের বাহিনী।  তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, যেমন কর্ম তেমন ফল। তৃণমূল সমর্থিত মহিলারা জুতো ঝাঁটা দেখিয়েছে। এটাই সুকান্তবাবুর প্রাপ্য ছিল। আরও কিছু জবাব বাকি আছে, সেটা আমরা ১১ তারিখের পর দিয়ে দেব।