ধরনা মঞ্চে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইকে দেশ ও সংবিধান বাঁচানোর লড়াই বললেন সমাজকর্মী তথা প্রাক্তন আপ নেতা যোগেন্দ্র যাদব । এই লড়াইয়ে তিনি মমতার হাত শক্ত করার ডাক দিলেন । শনিবার আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনার দ্বিতীয়দিন । এ দিন এই মঞ্চে হাজির হন প্রাক্তন বিজেপি নেতা কীর্তি আজাদ । ছিলেন স্বরাজ আভিযান পার্টির নেতা যোগেন্দ্র যাদব । এই মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‘বাংলা ছাড়া দেশ ভাবা যায় না । বাংলা স্বাধীনতা আন্দোলনে রক্ত দিয়েছে । আমি দিদিকে বলতে চাই, যে লড়াই আপনি করছেন, সেটা শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের লড়াই, সংবিধান বাঁচানোর লড়াই ।’’ এ দিন ১০০ দিনের কর্মীদের আন্দোলন তিনি বলেন, ‘‘১০০ দিনে কাজ করেও মানুষ টাকা পায়নি । এখানকার একজন মহিলা ৯০ দিন করে তিন বছর কাজ করেছেন । সবমিলিয়ে ওঁর ৫৪ হাজার টাকা বাকি । কেন্দ্রীয় সরকার সেটা দেয়নি । মোদিজি আপনাকে বলতে চাই, গরিবের পেটে লাথি মেরে কেউ ক্ষমতায় থাকে না । গরিবের অভিশাপ লাগে ।’’ একই সঙ্গে এ দিন তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট হেরে পিছনের দরজা দিয়ে সরকার চালানোর অভিযোগ করেছেন । তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সালে আপনারা লড়াই করেছেন রাজ্য জয়ের লক্ষ্য নিয়ে । সেবার হেরে গিয়েছেন । বৈধ পথ দিয়ে আবার চেষ্টা করুন । পিছনের দরজা দিয়ে সরকার চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন কেন ? পরবর্তী ভোটের জন্য অপেক্ষা করুন ।’’ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে কেন্দ্রের শাসকদলের ইলেকশন ডিপার্টমেন্ট বলে কটাক্ষ করেছেন যোগেন্দ্র যাদব । তাঁর কথায়, ‘‘ইডি মানে বিজেপির ইলেকশন ডিপার্টমেন্ট । ইডিকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীদের আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে ।’’ যেভাবে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে এই কেন্দ্রীয় সংস্থা গ্রেফতার করেছে তারও সমালোচনা করেছেন তিনি । যোগেন্দ্র যাদবের কথায়, ‘‘যেভাবে ইডিকে লাগিয়ে হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তার জন্য কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয় । আদতে সিবিআই ইডি লাগিয়ে সংবিধানকে হত্যা করার চেষ্টা হচ্ছে । এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র পারেন দেশকে বাঁচাতে ।’’ তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লড়াই করছেন, তা এই দেশকে, এই দেশের সংবিধানকে রক্ষা করার লড়াই । সারা দেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছে । সারা দেশে এই লড়াই ছড়িয়ে দিতে হবে । এবার লোকসভার লড়াই শুধু দেশের সরকার গঠন নয়, দেশের সংবিধান বাঁচানোর লড়াই । আর এই লড়াইয়ে মমতার হাত শক্ত করতে হবে ।’’