২ দিনের সফরে সোমবার বীরভূম এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল দুপুরে সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ঘুরে দেখেন দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ক্যাম্প। মঙ্গলবার রোড শো ও জামবুনিতে সভা করার কথা ছিল তাঁর। পূর্বসূচি অনুযায়ী এদিন প্রায় ৪ কিলোমিটার পদযাত্রা শেষে জামবুনির সভামঞ্চে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপিকে একহাত নেন তিনি। তৃণমূল নেতাদের দলত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপি টাকা দিয়ে তৃণমূলের পচাধচা বিধায়কদের কিনছে। ওতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই।’ বরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান বিতর্ক থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়-সমস্ত ইস্যুতে এদিন বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভার শুরুতেই তুলে আনেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান নিয়ে জেপি নাড্ডার বিতর্কিত মন্তব্যের কথা। বীরভূম সফরে এসে বিশ্বভারতীকে রবি ঠাকুরের জন্মস্থান বলে উল্লেখ করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এদিন সেই মন্তব্যের সমালোচনা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘রাজনীতি করার আগে বাংলাকে জানতে হবে। কেউ কেউ তো রবি ঠাকুরের জন্মস্থানই বদলে দিচ্ছেন। গান্ধীজিকেই ওঁরা সম্মান করেন না। যাঁরা গান্ধীজিকে হত্যা করেছিলেন, তাঁরা ওঁদের নেতা।’বক্তব্যের শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমার একটাই পরিবার, মানুষের পরিবার, আর কেউ নেই। গ্রামে বহিরাগত দেখলে, পুলিশে খবর দিন। ভো কাট্টা করে বিরোধীদের উড়িয়ে দিন। একুশ আমাদের গর্ব, একুশ আমাদের পথ দেখাবে।” এদিকে, ক্যাম্পাসে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে বেআইনি জমায়েতের অভিযোগে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শান্তিনিকেতন থানার ওসিকে অভিযোগ জানাল। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।