জেলা

Yusuf Pathan :’গুজরাতের মোদি লড়েন তো বারাণসীতে থেকে, তাহলে আমি কী করে বহিরাগত’! বহরমপুরে প্রচারে নেমেই গুগলি পাঠানের

বৃহস্পতিবার দুপুরে বহরমপুরে পা রেখেই ‘বহিরাগত’ বিতর্কে মুখ খুললেন জোড়া বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। রাজনীতির ইনিংসের শুরুতেই গুগলি দিয়ে ইউসুফ বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ভোটে লড়তে এসেছেন। ইউসুফ পাঠান বললেন, ‘আমি বহিরাগত নই। এটা আমারই বাড়ি। এখানে থাকতে এসেছি।’ বহরমপুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর গড় হিসাবেই পরিচিত। সেই অধীরের কেন্দ্রে তৃণমূল এবার প্রার্থী করেছে ইউসুফকে। যা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই অসন্তোষ দানা বেঁধেছিল। ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাঁর দাবি ছিল, দুর্বল প্রার্থী দিয়ে আসলে অধীরকেই জেতার সুযোগ করে দিল তৃণমূল। নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ানোরও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। যদিও পরে তিনি সুর বদলেছেন। এদিন ইউসুফের পাশেই দেখা গিয়েছে হুমায়ুন পাঠানকে। অধীরের কেন্দ্রে ইউসুফ ‘বহিরাগত’ প্রার্থী বলে সরব হয়েছিলেন হুমায়ুন। ‘বহিরাগত’ শব্দটি উল্লেখ করেছে রাজ্যের বিরোধী শিবিরও। এই প্রেক্ষাপটে মুখ খুলে ইউসুফ বার্তা দিলেন যে,তিনি বহিরাগত নন। তবে অধীর প্রসঙ্গে এখনও মুখ খোলেনি ইউসুফ। শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির নামও উল্লেখ করেছেন। ইউসুফ বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় উদাহরণ আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি গুজরাতের বাসিন্দা। ভোটে লড়ছেন বারাণসী থেকে। রাহুল গান্ধী ওয়েনাড় থেকে লড়ছেন। তা হলে? আপনাদের ভালবাসায় দেশের যে কোনও প্রান্তে লড়তে পারি। বলুন আমি কি বহিরাগত?’ এরপরেই তাঁর মন্তব্য, ‘এটা আমারই বাড়ি। এখানে থাকতে এসেছি।’ এ দিন মঞ্চে প্রচারের আলো পুরোটাই ছিল পাঠানকে ঘিরে। জোড়া বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্যকে দেখতে ভিড় হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। অন্য দিকে, এদিন পাঠানের পাশেই প্রচারে দেখা গিয়েছে হুমায়ুনকে। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের দাবি, অভিষেক তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। হুমায়ুনের কথায়, ‘ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় ডেকেছিলেন। তিনি আমায় বুঝিয়েছেন, দলের প্রার্থীর হয়ে নামতে হবে। খুবই সম্মান দিয়ে নামতে হবে। তার পরেই আমি ঠিক করেছি, ইউসুফ পাঠানকে জেতাতে ময়দানে নামব।’