মালদা

ইংরেজবাজার পৌরসভার বৈঠক ডাকা নিয়ে জোর বিতর্ক কাউন্সিলরদের মধ্যে

হক জাফর ইমাম, মালদা: মালদা ইংরেজ বাজার পুরোসভার বৈঠক ডাকা নিয়ে জোর বিতর্ক কাউন্সিলরদের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ‘জলই জীবন’ এই প্রকল্প তৈরি করা হয়। তা নিয়ে শনিবার একটি বৈঠক ডাকা হয় মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভায়। শনিবার বেলা আড়াইটা নাগাদ এই বৈঠকের আয়োজন করা হয় মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভার সভা কক্ষে। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেননা মালদা ইংরেজবাজার পৌরসভার পুরো প্রধান নিহার রঞ্জন ঘোষ। এদিন এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, উপ পুরো প্রধানে দুলাল সরকার, প্রাক্তন পুরো প্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরি,নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি সহ অন্যান্য কাউন্সিলর ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। এই বিষয়ে উপ পুরো প্রধান দুলাল সরকার জানিয়েছেন, আগাম ঘোষণা অনুযায়ী এই বৈঠক ডাকা হয়। ‘জলই জীবন’ এই প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে জলের অপচয় নিয়ে সচেতন করার জন্য। তিনি বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে যত্রতত্র বোরিং বন্ধ করা, জলের অপচয় বন্ধ করাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাউন্সিলর ও স্বাস্থ্য দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, জল দপ্তর, স্বাস্থ্য দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরের কাউন্সিলর ও অন্যান্য আধিকারিকরাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।যদিও এই বৈঠকে পুরপ্রধান উপস্থিত না থাকায় জোর বিতর্ক শুরু হয় কাউন্সিলরদের মধ্যে। কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুরো প্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ সালে পুরসভার দায়িত্ব নিয়েছেন পুরো প্রধান। কিন্তু মাত্র ৪ বার মিটিং করেন তিনি। তিনি বলেন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কাউন্সিলরদের মিটিংয়ে ডাকা হয়েছে। যা তিনি করতে পারেননা। এই ঘটনায় তারা অপমানিত বোধ করছেন। পুরো প্রধান নিজে মিটিং ডাকছেন অথচ তিনি থাকছেন না। তিনি কাউকে দায়িত্বও দিয়ে যাচ্ছেন না। তিনি একাধিক অভিযোগ তুলেন বর্তমান পুরো প্রধানের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয় পৌরসভার সভা কক্ষে। এই ঘটনায় উপ প্রধান দুলাল সরকার বলেন, মিটিং ডেকে ছিলেন পুরপ্রধান কিন্তু তিনি এই মিটিংয়ে উপস্থিত হতে পারেননি। এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। তবে তিনি না থাকলে উপপ্রধানকে দায়িত্ব দিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেননি। এই নিয়েই কাউন্সিলরদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়।