শপথ গ্রহণ হতে পারে বৃহস্পতিবার
নাটকীয় পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রের সরকার গঠন নিয়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যেতেই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে সরকার গঠনের দাবি জানাবে শিবসেনা-কংগ্রেস এবং এনসিপি জোট। সূত্রের খবর, বুধবার সকালেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। এদিকে দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন কংগ্রেসের বালাসাহেব থোরাট এবং এনসিপির জয়ন্ত পাটিল। জানা গেছে, সরকার গঠনের চার দিন পর এদিন দুপুরে প্রথমে পদত্যাগ করেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। তারপরেই সাড়ে ৩টে নাগাদ ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। ৩ দলের অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচিতে সম্মতি জানিয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সনিয়া গান্ধী। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন তিন দলের বৈঠকের পরই এমন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। ঠিক ছিল মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে ১ ডিসেম্বর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। এই শপথ গ্রহণ তিনদিন এগিয়ে আনার প্রস্তাবও দেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেন, শপথ গ্রহণ হোক বৃহস্পতিবার। এখন রাজ্যপালের সম্মতিক্রমেই এই শপথ গ্রহণের দিনক্ষণ নির্ধারিত হবে। উল্লেখ্য, শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। ফলে এই প্রথম মহারাষ্রেব শিবসেনা এবং ঠাকরে পরিবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন কেউ।এদিন মহাবিকাশ আগাদির নেতা নির্বাচিত হলওয়ার পর শরদ পাওয়ার এবং সোনিয়া গান্ধীকে ধন্যবাদ জানান উদ্ধব। তিনি বলেন, আপনারা সবাই আমাকে নেতা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। আমি গর্বিত। উদ্ধব বলেন, আমরা সবাই পরিবারের মতো কাজ করব। সাধারণ মানুষ মনে করবেন এটি তাঁদের সরকার। তিনি সোনিয়া গান্ধীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের পরই তিনি দেখা করবেন তাঁর সঙ্গে। মহা বিকাশ আগাদির নেতা নির্বাচিত হয়ে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, কখনও ভাবিনি যে, আমি সিএম হব। এই সময় বালাসাহেবকে খুব মিস করছি।শারদ পাওয়ার বলেন, বিজেপির সমস্ত ষড়যন্ত্র ভেঙে ক্ষমতায় আসতে চলেছে জোট সরকার। বালাসাহেব যদি আজ থাকতেন তবে তিনি খুব খুশি হতেন। উদ্ধব ঠাকরেকে সর্বসম্মতিক্রমে মুখ্যমন্ত্রী পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।