কূলভূষণ মামলায় নৈতিক জয় পেল ভারত। আন্তর্জাতিক আদালতে এই সার্বিক জয়ের পথে ১৬ জন বিচারপতির মধ্যে ১৫ জনই রায় দেন ভারত পক্ষে। একমাত্র পাকিস্তানের বিচারপতি তাসাদক হুসেন জিলানী রায় দিয়েছেন পাকিস্তানের পক্ষে। এদিনের রায়ে, কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। ভারতের পক্ষ থেকে বার বারই কুলভূষণের জন্য কনস্যুলার অ্যাকসেস চাওয়া হয়েছিল পাকিস্তানের কাছে। পাকিস্তান প্রত্যুত্তরে গুপ্তচরদের ক্ষেত্রে ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কনসুলার অ্যাক্সেস দেওয়া হয়। কিন্তু এদিন বিচারপতিরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। এই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তান ভিয়েনা কনভেশন ভেঙেছে। ফলে এই মুহূর্তে পাকিস্তান কুলুভূষণকে ফাঁসি দিতে পারবে না। আপাতত পাক আদালতের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশে স্থগিতাদেশ পড়েছে। পাশাপাশি ভারত যে বারবার কনসুলার অ্যাক্সেস চেয়েছিল, তা পাকিস্তানের দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন বিচারপতিরা।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কূলভূষণ মামলার রায়-এর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে:
১. কুলভূষণ যাদবের মামলায় ভারতের আর্জির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আন্তর্জাতিক আদালত। পাকিস্তানের সেনা আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি থাকল।
২. ভিয়েনা কনভেনশনের ৩৬ নম্বর আর্টিকলের প্রথম প্যারাগ্রাফ অনুসারে কুলভূষণ যাদবকে কুনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়া হয়নি। এর জেরে কুলভূষণকে তাঁর অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আর এইভাবে পাকিস্তান ভিয়েনা কনভেশন লঙ্ঘন করেছে।
৩. কুলভূষণের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের দেখা করতে না দিয়ে ও তাঁর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা করার সুযোগ না দিয়ে পাকিস্তানকে ভারতকে বঞ্চিত করেছে।
৪. দেরি না করে পাকিস্তানকে অবিলম্বে কুলভূষণ যাদবের অধিকার সম্পকে তাঁকে অবগত করতে হবে। ভিয়েনা কনভেনশনের ৩৬ নম্বর আর্টিকল অনুযায়ী, ভারতকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দিতে হবে।
৫. কুলভূষণ যাদবকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড খতিয়ে দেখতে হবে পাকিস্তানকে। ওই রায় পুনর্বিবেচনা করতে হবে।