তমলুক: জালিয়াতি চক্রের ফাঁদে পড়ে টাকা খোয়ালেন প্রৌঢ়। আক্রান্ত ওই প্রৌঢ়ের নাম হরিপদ দাস। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার অন্তর্গত বুধিজোড় গ্রামের ঘটনা।জানা গিয়েছে, হরিপদ বাবু গত ৫ বছর আগে একটি নামজাদা সংবাদ পত্রে নিজের শরীরের রোগ নিরাময়ের বিজ্ঞাপন দেখে ওই সংস্থা থেকে ঔষধ ক্রয় করেন। ঔষধটি তাঁর বাড়িতে আসে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে। অবশ্য তার পর থেকে আর ওই ঔষধ বিক্রি করা সংস্থার সঙ্গে হরিপদ বাবুর কোনও যোগাযোগ ছিলনা বলে জানান তিনি।এখানেই শেষ নয়, তাঁর আরও অভিযোগ ওই সংস্থা থেকে আচমকা চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর একটি ফোন আসে হরিপদ বাবুর ফোন নাম্বারে। তাতে বলা হয়, ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা লটারির মাধ্যমে জিতেছেন তিনি। আর ওই টাকা পেতে হলে তাদের দেওয়া অ্যাকাউন্ট নাম্বারে ৪২০০ টাকা দিতে হবে।সেই মতো তিনি প্রথম দফায় ৪২০০ টাকা দেন ওই সংস্থার ফোন নাম্বারে দেওয়া অ্যাকাউন্টে। এই ভাবে দফায় দফায় ২৫৪৫০ টাকা ওই সংস্থাকে দেন হরিপদ বাবু। তারপর আরও ১৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলে হরিপদ বাবুকে বারংবার ওই সংস্থা থেকে ফোন করে বলা হয়।দফায় দফায় টাকা দেওয়ার পরেও তিনি ব্যক্তিগত ভাবে কোনও টাকাই লটারিতে জেতেননি বলে হরিপদ বাবুকে জানানো হয় ওই সংস্থার পক্ষ থেকে। এমনই অভিযোগ হরিপদ দাসের।এরপরই জালিয়াতির চক্রের ফাঁদে পড়েছেন বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই প্রৌঢ়। পটাশপুর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তমলুকে সাইবার ক্রাইম থানায়তাঁকে অভিযোগ লিপিবদ্ধ করতে বলে।ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ওই সংস্থার বিরুদ্ধে তমলুক সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত। অবশ্য এই অভিযোগের বিষয় নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি পুলিশের পক্ষ থেকে।