কালনা: জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিভি দেখতে ব্যস্ত, বেডে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন রোগী। চিকিৎসার জন্যে রোগীর আত্মীয়রা চিকিৎসককে হাতে পায়ে ধরার পরও রোগী দেখতে যাননি চিকিৎসক, তাই বেডেই মৃত্যু হল কিশোর দাস নামে এক ব্যক্তির।ঘটনাটি ঘটেছে কালনা মহকুমা হাসপাতালে। এই মৃত্যুকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতালে। চিকিৎসকের গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ।পরিস্থিতি সামাল দেয় কালনা থানার পুলিশ।জ্বর ও বমির উপসর্গ নিয়ে গতকাল কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভরতি হন পূর্ব বর্ধমানে মেমারির বাসিন্দা কিশোর দাস। গভীর রাতে কিশোর বাবুর অবস্থা অবনতি হওয়ায় নার্সদের জানালে রোগীর আত্মীয়দের জরুরী বিভাগের চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।কালনা মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তখন জরুরি বিভাগের টিকিট ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন বলে অভিযোগ। বেডে ছটফট করতে থাকা রোগীকে চিকিৎসককে একবারের জন্য দেখার অনুরোধ করেন রুগীর আত্মীয়রা।নিজের আপনজনকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে চিকিৎসকের হাতে পায়ে ধরে রোগীর আত্মীয়রা। তাতেও মন গলেনি জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের। ছটপট করতে থাকা রোগীর রবিবার ভোরবেলায় মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগে চিকিৎসা হয় বলে অভিযোগ। তার কিছু সময় পরেই মৃত্যু হয় কিশোর বাবুর।কেন চিকিৎসক সঠিক সময়ে রোগীকে দেখেননি তা নিয়ে হাসপাতালে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে কালনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষোভের ভয়াবহতার কথা আঁচ করে অভিযুক্ত চিকিৎসক হাসপাতাল ছেড়ে চম্পট দেন।