ট্রাম্পের সফরের জন্য ভারত সরকারের ১০০ কোটি টাকা খরচ হওয়ার খবর প্রকাশ্য আসতেই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। পাশাপাশি ট্রাম্পের যাত্রাপথে থাকা বিভিন্ন বস্তি এলাকা যেভাবে পাঁচিল দিয়ে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এর মাঝেই আমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামের কাছে একটি বস্তিতে থাকা ৪৫টি পরিবারকে দ্রুত জায়গা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় পৌরনিগম। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি ভারত সফরে আসছেন ট্রাম্প। এখানে আসার পর গুজরাতের আমেদাবাদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একটি রোড শো করার কথা রয়েছে তাঁর। এর জন্য সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইন্দিরা ব্রিজ পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অনেক দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে। ওই এলাকাগুলিতে থাকা বস্তিগুলি যাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চোখে না পড়ে তার জন্যই এই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছে। ৪৫টি পরিবারকে অবিলম্বে এলাকা ছাড়ার নোটিশ ধরিয়েছে আমেদাবাদ পৌরনিগম। যার ফলে ওই পরিবারগুলির মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। শুধু তাই নয়, নোটিশটি গত ১১ ফেব্রুয়ারি দেওয়া হয়েছে। তাতে সাতদিনের মধ্যে জমি খালি করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও সোমবারই নোটিশটি পরিবারগুলির হাতে ধরিয়ে মঙ্গলবার অর্থাৎ একদিনের মধ্যে জায়গা খালি করতে বলা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই বস্তিবাসীরা ক্ষেপে গিয়েছেন। এর ফলে ওই পরিবারগুলির ২০০ জন মানুষকে গৃহহীন হতে হবে। যা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে স্থানীয় মহলে। যদিও ওই পরিবারগুলি নাকি সরকারি জমি জোর করে দখল করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে আমেদাবাদ পৌরনিগমের তরফে। তাই তাদের জমি খালি করার নোটিশ ধরানো হয়েছে। যার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের কোনও যোগ নেই বলে দাবি পৌরনিগমের।