কলকাতাঃ তপশিল জাতি আদিবাসি প্রাক্তন সৈনিক কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গের ১৮টি জেলায় ২০৪টি ব্লকের ৬৫০০ কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে বহু লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে এই সংস্থাকে। বিভিন্ন সময়ে সংস্থার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আদিবাসি সম্প্রদায়ের পিছিয়ে পড়া মানুষের বহু সাহায্য হয়েছে। এমনকি আদিবাসি সম্প্রদায়ের বহু মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নও হয়েছে। এবার এক অভিনব উদ্যোগ নিল তপশিল জাতি আদিবাসি প্রাক্তন সৈনিক কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র। বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে সাংস্থার সম্পাদক সৌমেন কোলে জানান, পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার ৫টি ব্লকের (ঝালদা-২, শিরকাবাধ, বাগমুন্ডি, আড়শা, কোটশিলা) ২৪টি গ্রামের কয়েকশো আদিবাসিদের
নিয়ে লাক্ষা চাষ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই আদিবাসিদের নিজস্ব কুশুম গাছে লাক্ষা চাষ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই মাসের শেষের দিক থেকে আগামি জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সেগুলি কুশুম গাছ থেকে কেটে কুল গাছে লাগানো হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এবার এই লাক্ষা শুধুমাত্র পুরুলিয়া জেলাতেই নয় পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১২টি জেলাতে (পুরুলিয়া, বাকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিন ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি) প্রায় ৬০ হাজার কুল গাছে ৭৫০ কুইন্ট্যাল লাক্ষা লাগানো হবে। দেশের স্বাধীনতার পর পশ্চিমবঙ্গে এভাবে বৃহদাকারে লাক্ষা চাষ এর আগে কোনওদিন হয়নি। তপশিল জাতি আদিবাসি প্রাক্তন সৈনিক কৃষি বিকাশ শিল্প কেন্দ্র-এর আশা এই লাক্ষা চাষ গোটা পশ্চিমবঙ্গে এই মরশুমেই অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে বলে। কুশুম গাছ ও কুল গাছ ছাড়াও সেমুইয়ালতা গাছেও লাক্ষা চাষ হয়। আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে এই সংস্থা প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে সেমুইয়ালতা চারা লাগাবে। এই গাছগুলিতে ২০২০ সালে জুন মাসে লাক্ষা চাষ করা হবে।