বিতর্কিত মন্তব্যের খেশারত দিতে হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে। শুধু অনুরাগ ঠাকুরই নন, বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন পশ্চিম দিল্লির সাংসদ পরবেশ ভার্মা। দিল্লিতে বিজেপির পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে আর অংশ নিতে পারবেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং বিজেপি সাংসদ পরবেশ সাহিব সিং ভার্মা। বুধবার একথা পরিস্কার জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। উত্তর পশ্চিম দিল্লির রিথালার বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করতে গিয়েছিলেন অনুরাগ। গত সোমবার একটি জনসভায় অনুরাগ বলেন, ‘দেশের বিশ্বাসঘাতকরা।’ তারপরই জনসভার থাকা কর্মীরা বলে ওঠেন, ‘গুলি করে মারা উচিত।’ এই মন্তব্যের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। বিজেপির একাধিক নেতা জনসভায় হাজির ছিলেন। মঙ্গলবার বিকাশপুরী বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে পশ্চিম দিল্লির সাংসদ পরবেশ ভার্মা শাহিনবাগের নাম না করে হুমকি দিয়েছেন এই বলে যে, ‘এটা শুধুই একটা নির্বাচন নয়। এটা দেশের একতার সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্বাচন। ১১ ফেব্রুয়ারি যদি বিজেপি সরকার গঠিত হয় তাহলে ঠিক একঘণ্টার মধ্যে আপনারা দেখবেন ওখানে একজনও বিক্ষোভকারী নেই। আমাদের সরকার গঠিত হলে আমাকে শুধু এক মাস সময় দিন। আমি আমার কেন্দ্রে সরকারি জমির উপর তৈরি হওয়া সব মসজিদ গুঁড়িয়ে দেব। ওখানে তো অনেক লোক জড়ো হয়েছে। ওরা আপনাদের ঘরে ঢুকে আপনাদের মা, বোন, মেয়েদের ধর্ষণ করবে, খুন করবে। এবার দিল্লিবাসীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার এটাই সময় আপনারা কী করবেন। মোদিজি বা অমিত শাহ আপনাদের আগামীকাল বাঁচাতে আসবেন না। তাই ভালো হবে যদি দিল্লিবাসী আজই জেগে ওঠেন।’