পুজোর মরশুমে যাতে নিশ্চিত টিকিট পেতে যাত্রীদের কোনও সমস্যা না হয়, তারজন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক পরিকল্পনা গুলি –
১) ট্রেন ছাড়ার চার ঘণ্টা আগেই সংরক্ষণ তালিকা যাত্রীদের জন্য টাঙিয়ে দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট স্টেশনে। যার ফলে ট্রেনে আসন খালি থাকলে যাত্রীদের নিশ্চিত টিকিট পেতে সুবিধা হবে। দ্বিতীয়বারের জন্য সংরক্ষণ তালিকা টাঙানো হবে ট্রেন ছাড়ার ত্রিশ মিনিট আগে। তারপরেও যদি ট্রেনে আসন থাকে। তো যাত্রীদের আসন দিতেই হবে। টিকিট পরীক্ষককারীরা আপনাকে না বলতে পারবেন না।
২) অসংরক্ষিত কামরার ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক লিঙ্কিং ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। বিশেষ করে পশ্চিম রেলওয়েতে শোনা যায়, অনেকেই টিকিট কেটে ট্রেনে উঠে পড়েন। বিশেষত কিছু দু্ষ্কৃতী তারপর অসংরক্ষিত কামরায় মোটা টাকায় আসন বিক্রি করেন। এবার থেকে নিয়ম করা হয়েছে, অসংরক্ষিত কামরায় যাঁরা টিকিট কাটবেন, তাঁদের আঙুলের ছাপ স্ক্যান করার পর একটি টোকেন দেওয়া হবে। যা আরপিএফকে দেখিয়ে ট্রেনে উঠতে হবে।
৩) যদি কোনও ট্রেনে সব আসন সংরক্ষিত থাকে। সেক্ষেত্রে আইআরসিটিসি-র পোর্টালে সম্ভাব্য টিকিটের খোঁজ মিলবে। সম্ভাবনা কম হলে বিকল্প ট্রেনের ব্যবস্থাও থাকবে। ভ্রমণের নির্দিষ্ট দিনেই তা মিলবে।
৪) দুটি কানেক্টিং ট্রেনের ক্ষেত্রে যদি দেখা যায়। কোনও কারণে প্রথম ট্রেনের দেরির জন্য যাত্রী দ্বিতীয় ট্রেন মিস করেছেন। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ট্রেনের ভাড়া ফেরত দেওয়া হবে যাত্রীকে। এবং নির্দিষ্ট জায়গায় বিকল্প ট্রেনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে। আইআরসিটির-র পোর্টালে যাবতীয় তথ্য থাকবে।
৫) শতাব্দী ও রাজধানীর মতো ট্রেনের ক্ষেত্রে লাইভ আপডেটের ব্যবস্থা থাকবে। চলন্ত ট্রেনে আসন ফাঁকা রয়েছে কিনা তা যাত্রীদের সুবিধার জন্য জানিয়ে দেবেন টিকিট পরীক্ষককারীরা।