হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল সারা দেশ। দেশের প্রতিটি শহরের প্রশাসনে বাড়তি তৎপরতা শুরু হয়েছে মহিলাদের নিরাপত্তা জোরদার করতে। ঠিক সেই সময়েই আরও একটি গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এল। এবার ওড়িশার পুরীতে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত এক প্রাক্তন পুলিশ কনস্টেবল-সহ চারজন। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেছে ওড়িশা পুলিশ। ঘটনা জানাজানি হয় সোমবার বিকেলে। নির্যাতিতা তরুণী কুম্ভাপাড়া থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি পুলিশকে জানান, বাস ধরার জন্য তিনি দাঁড়িয়েছিলেন নিমাপাড়া টার্মিনালে। বাসে করেই তাঁর পুরী জেলার কাকাতপুর গ্রামে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, বাসের জন্য অপেক্ষা করার সময়েই একটি গাড়ি নিয়ে কয়েকজন আসেন। পুলিশ পরিচয় দিয়ে বলে, তারা নামিয়ে দেবে। ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, “আমি ওদের গাড়িতে উঠতে চাইনি। কিন্তু জোর করে ওরা আমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।” তরুণী জানিয়েছেন, তিনি ভুবনেশ্বরে থাকেন। সেখান থেকেই ফিরছিলেন। একটি বাসে নিমাপাড়া টার্মিনালে নামেন। সেখান থেকেই গ্রামের বাড়ি যাওয়ার বাস ধরার কথা ছিল তাঁর। নির্যাতিতা পুলিশকে আরও জানিয়েছেন, ওই গাড়ি করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি সরকারি আবাসনে। সেটি আবার ঝাদেশ্বরী মন্দিরের কাছে। সেখানেই তাঁর উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে তাঁর উপর নির্যাতন চালানো হয় টানা দেড় ঘণ্টা। ভিতরে দু’জন মিলে ধর্ষণ করে আর বাইরে দু’জন পাহারা দেয় বলে জানিয়েছেন তরুণী। এর মধ্যেই নির্যাতিতা তরুণী এক অভিযুক্তের মানিব্যাগ নিয়ে নেন। যা তারা টেরও পায়নি। তা থেকেই ওই পুলিশ কর্মীর আই কার্ড পাওয়া যায়। দেখা যায় তার নাম জিতেন্দ্র শেঠি। পুলিশের হাতে ওই আই কার্ড তুলে দেওয়াতে কাজ আরও সহজ হয়ে যায়। সোমবার বিকেলে অভিযোগ জমা দেন তরুণী। রাতেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওড়িশা পুলিশের ডিআইজি (সেন্ট্রাল রেঞ্জ) অনিশ কুমার জানিয়েছেন, দ্রুত বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরী হাসপাতালে নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে। তাতে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।