কলকাতা

​বিজে ব্লকের পুজোয় অমিত শাহকে ঘিরে ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’

সল্টলেক: ঠিক আকাশের মতোই পরিকল্পনায় নেমে এল ঘোর অন্ধকার। মেরেকেটে একটি পুজোর উদ্বোধন করে মুখরক্ষা হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এমনটাই ছিল রাজ্য বিজেপির সাধ। বিজে ব্লকের যে পুজোর উদ্বোধনে অমিত শাহের নাম উঠে আসছিল এবার সেই পুজো নিয়েও দ্বন্দ্ব। কর্তাদের একাংশ চান না পুজো ঘিরে রাজনীতি হোক। আর বিজেপি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী উমাশঙ্কর ঘোষ দস্তিদারের (মেজদা) পুজো বলে পরিচিত বিজে ব্লকে অমিত শাহকে দিয়েই উদ্বোধন করাতে চায় র‍াজ্য বিজেপি এবং পুজো কমিটির একাংশ। শনিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘অমিত শাহ ১ তারিখ সল্টলেকের একটি পুজোর উদ্বোধন করবেন।’ এরপরই দিল্লি ফিরে যাবেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। রবিবার মুখরক্ষার বার্তাই উঠে এল রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর মুখে। তিনি বলেন, রাজ্যের পাঁচটি পুজোর উদ্বোধনের আমন্ত্রণ এসেছিল তা থেকেই একটি পুজোর উদ্বোধনে যাচ্ছেন অমিত শাহ।’ তবে গেরুয়া শিবির যাই বলুক না কেন পুজোয় ‘জনসংযোগের’ ছুতোয় যে হালে পানি পেল না পদ্মশিবির তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গেল বিজে ব্লকের পুজো ঘিরে অন্তর্দ্বন্দ্বে। আসলে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকে হাতিয়ার করতে চেয়েছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। শুরুতে পরিকল্পনা ছিল, কলকাতার তিন-চারটি পুজোর উদ্বোধন করবেন অমিত। যারমধ্যে অন্যতম নিশানা ছিল কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ার সঙ্ঘশ্রী-র পুজো। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে এই পুজো কমিটির সভাপতিও করা হয়েছিল। কিন্তু জলঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হতেই  সঙ্ঘশ্রীর পুজো অচিরেই বিজেপির থেকে ফের তৃণমূলের দখলে চলে যায়। এরপর সিদ্ধান্ত হয়, কলকাতার অন্তত একটি পুজোর উদ্বোধন করিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মানরক্ষা করতেই হবে। না হলে যে মাথা কাটা যাবে বঙ্গ নেতাদের। আদতে যে দিলীপ, সায়ন্তনের মুখে শুধু বুলি ছাড়া আর কিছুই নেই কার্যত তা প্রমাণ হয়ে যাবে। তাই মুখে সংগঠনের ভাল পরিস্থিতি দাবি করলেও তৃণমূলের ‘বাগানে’ যে ‘পদ্ম’ এখনও পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে পারেনি তা স্পষ্ট হয়ে গেল চলতি পরিস্থিতিতে।