নয়াদিল্লি: আফগানিস্তানে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার ভারত উপমহাদেশের (একিউআইএস) চিফ মৌলানা আসিম উমরকে। আফগানিস্তানের জাতীয় সুরক্ষা পরিচালক এই তথ্য টুইট করে জানিয়েছে৷ আসিম আল-কায়েদার প্রধান আয়মান আল জাওয়াহিরির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০১৫ সালে সে একটি ভিডিওটি প্রকাশ করে আমেরিকা, রাষ্ট্রসংঘে হামলা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল৷আফগানিস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ডিরেক্টরের মতে, গত মাসে আফগানিস্তানের মুসা কালা জেলায় একটি অভিযানে আমেরিকান সামরিক বাহিনীর হাতে আসিম নিহত হয়েছিল। এই আল-কায়েদা জঙ্গি উত্তরপ্রদেশের সাম্বাল জেলার বাসিন্দা ছিলেন। তার আসল নাম সানাউল হক। ২০১৪ সালে আল কায়েদার চিফ আইমান আল জাওয়াহিরি একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে আসিমকে ভারত উপমহাদেশের প্রধান ঘোষণা করেছিল৷ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির তদন্তে জানা গিয়েছে, মৌলানা আসিম ওমর ভারত থেকে আফগানিস্তানে যায়৷ সে উত্তর প্রদেশের সাম্বাল জেলার বাসিন্দা। নব্বইয়ের দশকে সানাউল বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরে জানা গিয়েছে, সে পাকিস্তানে ছিল। ২০১৬ সালে র-এর সহযোগিতায় দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ভারতে ঘাঁটি করে থাকা বেশ কিছু আল-কায়েদার জঙ্গিকে পাকডা়ও করেছিল৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ নিশ্চিত হয় আসিম উমর উত্তর প্রদেশের সাম্ভালের সানাউল।আমেরিকাতে ১১ / ১১-এর হামলার পরে তাকে আল কায়েদার একটি ডকুমেন্টারে ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গেও দেখা গিয়েছিল। আমেরিকা তাকে ২০১৬ সালে গ্লোবাল সন্ত্রাসবাদী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল। মৌলানা ওমর সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতে জিহাদ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল৷ এই ভিডিওগুলিতে তাকে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি এবং পুলিশদের উপর আক্রমণ প্ররোচিত করতে দেখা গিয়েছে।তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ২৭ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান এবং আমেরিকা সেনাবাহিনী মুসা কালার কম্পাউন্ডে মৌলনা ওমর রয়েছে বলে খবর পায়৷ সেই খবরের ভিত্তিতে তারা যৌথ অভিযান চালায়৷ ওমরকে লক্ষ্য করে গুলি চালালেও কোনভাবে সে পালিয়ে যায়৷ তবে তার পাকিস্তানি স্ত্রীসহ ছয় পাকিস্তানি মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল৷